লোহার শেকল
- সোলায়মান শিপন ১৪-০৫-২০২৪

এখানে পা রাখার কোন ফুস্রোত নেই ,
মসজিদের মিনারগুলো থেকে শুরু করে রাসূলের পরিচয়টাও ওদের দখলে ;
প্রশ্ন লিখেছি কার্বনে ; আমার রাসূল রাখাল ছেলে ছিল কিনা ?
অমনি এক গাদা লোহার শেকল এসে আমার পা জাপটে ধরেছে ,
আমার রাসূলকে রাখাল বললে নাকি খুব মানহানী হয়ে যায় তাঁর;
হায়রে অভাগা দেশ ! হায়রে অভাগা জাতী !
আল্লাহ্ আর রাসূলকে ওরা স্বচ্ছল পল্লীর বাসিন্দা বানাতে চায়,
খোদা তায়ালা আমার রাসূলকে রাখাল বানিয়ে তাকে মহীয়ান করেছিল ,
কিছুইতেই তাঁরা তা মানতে চাচ্ছে না ।
বলছে তাকে নাকি ছোট করা হয়েছে ,
ওরা দেখছে বাঁকা দৃষ্টি দিয়ে দূর আকাশের পূর্ণিমার চাঁদ ,
আলো সদা সরলরেখায় চলে বলেই , ঐ চাঁদের আলো ওরা ছুঁতে পারেনি ।
কিছু মুখস্ত কথা আওড়িয়ে কিছু কথা ওরা সবাইকে বোঝাতে চাইছে ,
অন্যদের বোঝানোর কথা বলে ওরা তা বোঝাতে চাইছে নিজেকেই -
যেখানে মুখস্ত কিছু কথা আর আনুষ্ঠানিকতাই ওদের ধর্ম-
সেখানে সত্য ওদের থেকে অনেক দূর বসবাস করে ;
ওরা আবারো কথা বলছে কর্ণ দিয়ে !
শামুকে আটকে থাকা ওদের দৃষ্টিভঙ্গি গিয়ে পড়েছে কোন নীল সমুদ্রের জলে ,
ওরা আওড়িয়ে বেড়াচ্ছে কিছু মুখস্ত কথার ফুলছুড়ি,
মুখস্ত কথা দিয়ে তাঁদের ঈমান টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে দুর্বল ঈমানের ঐ লোকগুলো ।
তার ভাজে পিষ্ট হয়ে গেছে ঐ হিন্দু ভাইয়ের চাষা বন্দনার কথা;
চাষা যেমনি সব সাধকের বড় সাধক ,
ঠিক তেমনি আমার রাসূলও শ্রেষ্ঠ ছিল ।
তাইতো তাকে চাষা বেশে খোদা মহীয়ান করেছিল ।
আজো মুখস্ত বিদ্যাগুলো কার্বনে লিখে দিলে -
বেড়িযে আসে কিছু অন্ধবিশ্বাস, ধর্মভয় আর নিজের ঈমানকে টিকিয়ে রাখার ছেলেখেলা ,
ঐ মিনার-মেম্বারে যে স্বার্থের জয়গান গাচ্ছে ভন্ড, আমরা সেখান থেকেই ধর্ম চিনেছি ।
আমরা আমাদের দৃষ্টিশক্তি ওদের কাছে বিনামূল্যে বেঁচে দিয়েছি ;
তবে চড়া দাম দিয়ে কিনেছি ঐ মুখস্ত বিদ্যা !
আমরা খোদার ঘর বেঁচে দিয়েছে , আমরা সত্য বানীর উৎস বেঁচে দিয়েছি ।
বিনিময়ে ওরা আমাদের গোলাম করে নিয়েছে ;
আমরাও স্বেচ্ছায় গোলাম হয়ে গিয়েছি -
কেননা এ জাতী ঠকানোর চেয়ে ঠকতে বেশি পছন্দ করে ।
আজ বেশ-ভুষনের অহমিকায় বিনামূল্যে রাসূলের আদর্শ বেঁচে দিয়েছি ।
আমরা আজ নিজেকে বেঁচে দিয়েছি ,
বেঁচে দিয়েছি আমাদের জীবস্বত্তার অস্তিত্বকে ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।