কবিওকবিতা
- ফাহিম মাহমুদ আদি ১৭-০৫-২০২৪

গ্রিক হতে পথচলা
ভাষার নান্দনিক গুণের ব্যবহারে,
পরিসর এবং পারদর্শিতা,
যা পয়েসিস, পয়েট্রি অতপর বাংলার কবিতা।

সূচনা তোমার প্রাচিনযুগে –
সন্ধ্যাকর নন্দীর হাত ধরে,
রামচরিতম মহাকাব্যে।
অন্ধকারযুগে, অচেনা কবির
“প্রাকৃতপৈঙ্গল” সংকলিত গ্রন্থে।
যার আধুনিকতার ভার ন্যাস্থ ছিল
ইশ্বরচন্দ্রের বাহুডোরে।

তুমি বাঁধানো, কবির ছন্দ:প্রকরণে,
তাল, মিটার ও ছন্দোময় নিদর্শনে।
তুমি লেখ্য, স্থান-কাল-পাত্রভেদে ভিন্ন রুপে,
ছড়া-অন্তমিল, অনুপ্রাস-অনুপ্রসাধর্মী
ওস্বরানুপ্রাস-স্বরাসাদৃশ্য হয়ে।

কখনো তুমি রুবাই ও সিজো ভেশে,
বিরতী চার পঙ্কতিতে,
কখনো কাসিন্দা ভেশে,
ব্যপ্ত অভিরাম অজস্র ছন্দোময় বাক্যে,
মেঘনাদবধ-ই যার পূর্ব দৃষ্ঠান্ত, এটাই বাংলার
আধুনিককাব্য।

কখনো কখনো তুমি সজ্জিত,
প্রয়োগে “টমাসওয়াট” এর সুত্র,
যা চৌদ্দচরণ, চৌদ্দ অক্ষরে সংগঠিত,
কিংবা হাইকু হয়ে তিন পঙ্কতিতে প্রকাশিত।

এইতো, এই হলো কবি!
এই হলো কবির কবিতা!

লিখিত: 23-09-2016
বিকাল 3 টা।

টিকা: কবিতার ইতিহাস তোলে ধরার লক্ষে কবিতাটি লিখা। আমার মত অনেক তরুন আছে যার কবিতার ইতিহাস ও কবিতার প্রকার সম্পর্কে জানি না।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।