স্মারকলিপি ইশ্বরের কাছে
- শাহানারা সুলতানা তানিয়া ২০-০৫-২০২৪

কেউ কোথাও নেই,
ওপাড়ে পাহাড়, মাঝে নদী,
আর তীরে দুটি মেষ শাবক আপনমনে চলছে ।
আর কোথাও টুপটাপ শব্দ হলে
আমি তার কিছুটাও পেতে পারতাম ।
কোথাও এতটুকু শব্দ নেই, আমার একাকী লাগে
যেমন একা দিনের সূর্য, রাতের চাঁদ, ভোরের পদ্মফুল ।
দুটি ঘাসফুলের মাঝে
অপরাধবোধের বিশাল সাঁকো,
তারা পরস্পরের এত কাছে যে, দূরের মাতৃবিয়োগই ভুলে গেছে।
কেউ কোথাও বেঁচে নেই
একটা পুরনো গোরস্থানে মৃতের এক ঝাঁক নীরবতা
এখনো অনন্তকাল পাহারা দেয়, দুর্বাঘাসে ঢাকা মাটি ।
আমার আজও মনে পড়ে
গরম ভাতের সুপ্রিয় ঘ্রাণ, পাগলের মত শুঁকতে চাইতাম
পরিপূর্ণকারী যখন নিজের ভাঁড়ার অবাধে খালি করে পূর্ণ পাতে।
আমার তখনই প্রথম বিদ্রোহী হতে শেখা,
আমি জ্বলতে থাকি ।
ঈশ্বর আর সৃষ্টিকুলের মাঝে পার্থক্য যখন ক্ষমতা নিয়ে
আমি তাকে কি বলবো,......?
ধর্ম........!!!
আমার ইচ্ছে করেনা ক্ষমতাবান হতে, সে ইশ্বরকেই মানায় ।
আমার ইচ্ছে করে রূপ হতে,
আমার ইচ্ছে করে নিয়ম হতে
আমার ইচ্ছে করে ধর্ম হতে
আমার ইচ্ছে করে বাঁচিয়ে রাখতে
আমার ইচ্ছে করে শব্দ হতে
আমার ইচ্ছে করে মেষশাবক হতে
আমার ইচ্ছে করে মাতৃত্বের পরশ ছুঁতে
আমার ইচ্ছে করে.......
নিজেকে ভেঙ্গেচুরে নতুন করে জন্ম দিতে,
যে জনমে আমি আমার ইচ্ছে মত সাজাবো জীবন ।
ফাল্গুনের রাতে জলাঙ্গীর কাণ্ড বেয়ে পৌঁছে যেতে সকালে
আমার ইচ্ছে করে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার আগে কিশোরীকে শোনাতে,
রাখালের সুরে বেঁচে থাকা জীবনের কি আহবান ।
ঈশ্বর.......
আপনি কি পারবেন, আপনার ক্ষমতার আত্ম অহংকার ছাড়তে.?
আমি আমার ইচ্ছে পুরণের ক্ষমতা দিয়ে
নতুন জনমে শান্তির পৃথিবীতে বাস করবো ।
বিনিময়ে আমি রাখালের বাঁশীর সুর শোনাবো,
যে সুরের আকুতি, কখনোই আপনি শুনতে চাননি ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।