অনমনীয় প্রতিক্ষা
- ফাহিম মাহমুদ আদি - শূণ্যতা ১৭-০৫-২০২৪
সময়ের ক্ষুদ্র- মধ্যবিধ- ঘটী শল্য অতিবাহিত বিরামহীন,
দিন-মাস-অর্ধবর্ষ হতে পূর্ণবর্ষে সংস্থান।
সর্যঘড়ি এখনো আঁকডানো হস্তে,
যা প্রথম উপকৌটণ তোমার হতে,
জানো? এখনো প্রজ্জ্বলিত, আছে নিদর্শন হয়ে।
বসে আছি নিরবতা পালনের ন্যায়
তাকিয়ে আছি নেত্রপল্লব স্থিরতায় সেই পন্থ,
যে পন্থে ঘঠিয়েছিলে বিদায় বসন্ত।
চারখানা পূর্ণ বসন্ত এখন অতিত হয়ে
পঞ্চমে ছুঁই- ছুঁই,
কোথা তুমি? ইতস্তত তোমার অবয়ব শূণ্য,
তুমি অদৃশ্য, গোচরের বাহিরে, প্রচ্ছণ্ণ।
“আবার আসবো, ক্লান্ত আছি বললেও শুনবেনা শস্ত্যের মঞ্জুরী,
উড়ে এসে জুড়ে বসব স্বকীয় প্রকোষ্টে হয়ে ধনুর্বন্ধনী”
সেই বিবৃতি কানে বাঁজে, বনে গেছে প্রতি ক্ষুদ্র শল্য‘র সাথী,
যা বাদল যুদ্ধে তীব্র শব্দের চেয়ে বলবান এবং তেজস্বী।
তবে বিলম্ব কেন? কিসের প্রতিবন্ধক?
অর্পূণতায় বিমূর্ষ চিত্ত, শূণ্যতা মহামারীকারে রুপবান,
গ্রাস করতে চলেছে স্মৃতি – স্মৃতিশক্তি, পাঁজর অতপর অন্তর।
তছনছ করতে বসেছে মানের মাধুরী মেশানো
সৎ ইচ্ছা-অভিরুচির ভান্ডার।
সকল বাঁধাবিঘ্ন ধুলিস্যাত করে,
পুরোনো দেহযষ্টির গন্ধ নিয়ে,
প্রিয় নীল শাড়ী পেছিয়ে,
গিয়েছিলে যে পন্থে তার পন্থপার্শ্বস্থ ধরে,
আসো আমার স্বকীয় প্রকোষ্টে।
তারিখ: ১৩-০৬-২০১৬
সময়: সকাল ৬:৩৩ মিনিট
স্থান: গ্রামের বাড়ী ( উত্তর বাঁশবাড়ীয়া )
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।