দীপ্ত তিক্ত দর্শন
- সোলায়মান শিপন - অন্ধকারে আলোর মশাল ১৪-০৫-২০২৪

আমি আমার স্বপ্ন দেখেছি , আমি স্বপ্ন দেখেছি
আমি ভোর আর আকাশের নিস্তব্ধতা দেখেছি ,
আমি জোক দেখেছি , এলোপাথারী স্বভাবের ,
নীল ভুত আর ভজনালয়ের হতাশা দেখেছি।
শুদ্ধতা দেখেছি, রক্ত আর শক্তি দেখেছি ,
শ্রাবনের বৃষ্টি আর বসন্তের যোজন দেখেছি
দেখেছি হাবিয়া রাবনের দপ্তর
বাঁশের কঞ্চিতে ঘেরা সবুজ রংয়ের ভুবন দেখেছি ।
শক্তিশালী প্লাবন দেখেছি, আঁধো আঁধো আলো দেখেছি,
লাল লাল বর্ণ দেখেছি, মেঠো পথের নর্দমা দেখেছি
ধীর প্রিয়সীর শক্তি দেখেছি, ক্ষিপ্ত ঝড়ের বৈরি দেখেছি,
অনেকগুলো ডালপালা দেখেছি , সবুজ সবুজ আল্পনা দেখেছি ,
সাধ্য আর অসাধ্যের নমনয়ীতা দেখেছি ।
আমি দেখেছি, আমি দেখেছি
আমি দেখেছি সহজকে, আমি দেখেছি দরাজকে ,
আমি নিভু নিভু আলোয় নৃত্য দেখেছি
আমি আঠারো সালের কাব্য পড়েছি নিলুয়া বেণীর আদলে,
কত শখ, কত কাল, কত রোদ আর বর্ষা দেখেছি ।
বৃষ্টির যাওয়া আসা দেখেছি , বাঁচা মরার তন্দ্রা দেখেছি ,
গগণচুম্বি হতাশা দেখেছি, গণমানুষের বন্যা দেখেছি ,
স্বাধীন-অধীন মন্দা দেখেছি, গন্ধহীনা সন্ধ্যা দেখেছি ।
বসন্ত থেকে বাসন্তী দেখেছি, কখনো কখনো আমায় দেখেছি ।
আমি আমায় দেখেছি !
আমি দেখেছি, আমি দেখেছি ।
আমি মশাল হাতে হাঁটতে দেখেছি, ভুলকে ভালোবাসতে দেখেছি ।
আমি শিশির দেখেছি, আমি তেষ্টা দেখেছি ,
আমি সুখ দেখেছি, আমি দুখ দেখেছি ,
আমি সঠিক আর বেঠিককে একসাথে বসে থাকতে দেখেছি
আমি পুকুরে ভাসা কচুরিপানাগুলোকে হাঁসতে দেখেছি ,
সাদা মেঘদুত ও কালোজিরা বৃক্ষের ওষুধি গুণ দেখেছি ,
শুভ্রবর্ণের কুয়াশা দেখেছি, আমি গণতন্ত্রকে কাঁদতে দেখেছি ,
কখনো কখনো হাঁসতে দেখেছি, আমি তেঁতো মালাইযে ভূরিভোজ দেখেছি;
সদ্য গড়া সমুদ্রের ঢেউ দেখেছি, অনেকগুলো রোগা শরীর দেখেছি
শান্ত , মন্দ ভাদ্র দেখেছি,
রাস্তার ধারে অনেকগুলো বসে থাকা কুকুরের ইচ্ছে দেখেছি ।
একটি উলঙ্গ শরীর দেখেছি, একটি উলঙ্গ ভোর দেখেছি ,
অনেকগুলো শেয়াল দেখেছি, অনেক ধারাল অস্ত্র দেখেছি ,
অনেকগুলো জোছনা দেখেছি, অনেকগুলো ভাবনা দেখেছি,
অনেকগুলো মন দেখেছি , নীলচে রংয়ের বন দেখেছি ,
সত্য দেখেছি , মিথ্যা দেখেছি,
আমি দেখেছি , আমি দেখেছি,
আড়শিতে আমি আমায় দেখেছি।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।