কুড়িয়ে পাওয়া কবিতা
- Nil Roy ২৯-০৩-২০২৪

জীবনটা বিষণ্ণতার সগরে ডুবে গিয়েছিলো,
আঠেরো বছর ধরে যাদেরকে নিজের ভেবেছিলাম
তারাও আমাকে ভুল বুঝেছিলো,
এমনকি তাদের পর যাকে আপন মেনেছিলাম;
স্বপ্ন দেখেছিলাম যে আমার হাতটা সারাজীবন ধরে থাকবে
সেও আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল,
নিজেকে খুব একা মনে হয়েছিল
মনে হয়েছিল যেন আমি নিজেকে মনখারাপের ভিড়ে প্রতি মুহূর্তে হারিয়ে ফেলছি,
নিজের ছায়ার মাঝেও চেনা মানুষ গুলোর ছায়া সন্ধান করছি ,
হঠাৎ একদিন ঠিক করি জীবনের বাঁধনটাকে ছিড়ে ফেলবো;
হাজার তারার মাঝে নিজেকে হারাবো ,
মনের কথগুলো একদিন তার পথ খুঁজে পায়-
আমি স্বেচ্ছায় ঝাঁপ দি অচেনা এক নদীর মোহনায়,
যখন চেতনা আসে জানতে পারি-
আমি ভেসে এসেছি এক অজ্ঞাত পল্লীগ্রামে,
এক বয়স্ক পূজারী আমার জীবন বাঁচিয়েছে,
নদীর তীর থেকে আমাকে উদ্ধার করেছে,
আর সেদিন থেকেই আমার আপন বলতে এই পল্লীগ্রাম।
তবে এখন আর সেই মনখারাপ গুলো নেই,
গ্রামকে ঘিরে থাকা রঙিন পাহাড় গুলো, যার গায়ে রঙ বেরঙ বন ফুল ফুঁটে আছে,
আমার মনখারাপ হলে তারা তাদের রঙের ছোঁয়ায় সব ভুলিয়ে দেয়।
একটা চঞ্চল নদী গ্রামের প্রধান সড়কের বাঁকে এসে মিশেছে, তার স্রোত নতুন কোন উপাখ্যান লিখছে
আমার মনখারাপ হলে তার উপাখ্যানের মহিমায় সব ভুলিয়ে দেয়।
নদীর পাড়েই একটা পুরাতন ফেরিঘাট, যেখান থেকে গ্রামের মানুষগুলো প্রতিদিন যাতায়াত করে
আমার মনখারাপ হলে তারা তাদের ভালবাসা দিয়ে সব ভুলিয়ে দেয়।
গ্রামের পূব দিকে একটা প্রবীণ মন্দির, নাম না জানা কোন এক দেবতার মূর্তি
আমার মনখারাপ হলে সেই দেবতা তার আশীর্বাদ দিয়ে সব ভুলিয়ে দেয়।
তাই সত্যি আজ আর আমার কোন মনখারাপ নেই,
নিজেকে ভালবেসে ভাল আছি
অপ্রসন্ন সময়টাকে ভুলে নতুন ভাবে বাঁচতে শিখেছি।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।