ভ্যালেন্টাইন নাকি রক্তের ঋণ?
- অয়ন চৌধুরী ২১-০৫-২০২৪

খোঁপায় গাঁদা ফুলের মালা,পরনে পলাশী রংয়ের শাড়ি
ঠোঁটে কাঠ গোলাপের আবির মেখে
হাতে এক গুচ্ছ রজনীগন্ধা নিয়ে সে দাড়াঁলো সম্মুখে,
আমি অবাক চাহনিতে প্রশ্ন করিলাম-
ফাগুনের এই আগুন মেখে কোথায় যাওয়া হয়?
কোথায় আবার! তোমার কাছে।
আমার কাছে! কেন তবে?
কেন আবার, আজ যে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী "ভ্যালেন্টাইন ডে"
তাই নাকি! আমিতো জানি আজ " স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র প্রতিরোধ দিবস"
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের এক অগ্নিঝরা দিন।

তোমার হাতে ওগুলো কি?
কি আবার! এক গুচ্ছ সুগন্ধি রজনীগন্ধা।
ওখানে এতো রক্ত কেন?
কোথায় রক্ত! কত সুন্দর সাদা ধবধবে ফুল।
আমিতো দেখছি শহীদ জাফর,জয়নাল, দিপালী সাহার
লাল টকটকে রক্ত জমাট বেধে শুকিয়ে আছে।
না গো তোমার রোমান্স গুলো শুকিয়ে গেছে।
ঐ ফুলে এতো দূর্গন্ধ কেন?
কই গো! কত মনোহর মাদকতাময় ঘ্রাণ।
আমি যে পাচ্ছি পেটোয়া বাহিনীর দ্বারা গুম হওয়া
লাশের পচাঁ মাংসের গন্ধ।
কি যে বল না তুমি!

আমি ১৯৮৩ সালের এই দিনে স্বৈরাচারী এরশাদ
সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র সংগ্রামের কথা বলছি,
আমি মজিদ খানের শিক্ষানীতি বাতিলের কথা বলছি
আমি জাফর,জয়নাল,দিপালী সাহা,কাঞ্চনের
আত্বত্যাগের মহান সংগ্রামী ইতিহাসের কথা বলছি
প্রেম ভালবাসার মত স্বাভাবিক সম্পর্ককে রসালো
করে আফিম নেশায় পরিনত করার নির্লজ্জ
ব্যবস্থাকে ঘৃণা বর্ষন করছি,
রক্তের অক্ষরে লেখা শহীদের নাম ভেসে
যেতে পারে না ভ্যালেন্টাইনের জোয়ারে।

১১.০২.২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।