কী অবলীলায় তুমি এলে!
- সরকার স্বপন - রাতের রুমালে তোমার ঘ্রাণ ১৮-০৫-২০২৪

কী অবলীলায় তুমি এলে!

অকস্মাৎ নেমে আসা বৃষ্টির মতো শিহরণ জাগানিয়া
তোমার এ আগমন অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তির মতো।
প্যারেড গ্রাউন্ডে সৈন্যরা ছিল না প্রস্তুত,
তাই ধূলির ঝড়ের তোড়ে তোমাকে জানালাম হৃদয়িক সম্ভাষণ।

যুদ্ধের বারতা তুমি আনো নি।
এনেছিলে সন্ধি-চুক্তির খসড়া,
আজন্ম লালিত কামনার গুল্মলতা।
আড়ষ্ট গুল্মলতায় নিজেকে জড়িয়ে ছিলে সুখের সংবরণে।
অতঃপর ধূলি-ঝড় থেমে গেলে,
আদি রহস্যেঘেরা বারমুডায় পতিত হলো
মন সায়রের মাঝি আর তাঁর নৌকা।

সেই শোক ভুলে সুখে
এলে সবুজের কাছে
আমাকে সাথি করে।
বসালে আমায় সূর্যের মুখোমুখি।
সূর্য কিরণ দিলো, উত্তাপ দিলো,
দিলো সাহসী হবার প্রেরণা তোমাকে আমাকে।
মৃদুহেসে তাকালে সূর্যের পানে
জানাতে কৃতজ্ঞতা, আর
আমাকে দেখলে দু’নয়ন ভরে অতৃপ্ত তৃষ্ণা মেটাতে।

কথার রথের যাত্রা হলো শুরু;
পরিভ্রমণ হলো স্বীয় সম্রাজ্য উত্থান পতনের গোড়াপত্তনে।
নিস্তব্ধ পুকুরের জলরাশি বিম্বিত ইশারায় থামাল এবার।
অহেতুক হেলায় সময়ক্ষেপণ অর্বাচীনতা বলে বোঝাল।
এইক্ষণে চুক্তির দালিলিক আলোচনা উঠে আসে,
সন্ধি-চুক্তি পড়ে থাকে পাশে।

অবশেষে যুদ্ধ ঘোষিত হলো পরাজিত হবার।
কে কতটা কতবার পরাজিত হতে পারে,
দিতে পারে নিজেকে বিলিয়ে পরাজয় মেনে নিয়ে।
যবনিকায় যুদ্ধের মহড়া দিতে যোদ্ধাযুগল
প্রকৃতির মাঝে নিলো ঠাঁই।

মহড়ায় জমকালো স্বল্প যুদ্ধ হলো,
পরাজয় হলো দু’জনেরই।
সানন্দ চিত্তে মেনে নিয়ে পরাজয়
স্বপ্নিল পৃথিবীর নির্মাতা হবে বলে
দৃঢ় সংকল্পে হ’লো চুক্তিবদ্ধ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।