নারীর শালা
- কাফাশ মুনহামাননা - সঙবিতা ২১-০৫-২০২৪

- তোকে ওইদিন ডাকলাম। সাড়া দিলি না কেনো?
- আমি তোর ডাক শুনি নি।
- কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখলে শুনবি কি করে?
- তোর কি কমনসেন্স নেই? জানিস ওই অবস্থায় শুনবো না। তা-ও ডাকলি কেনো?
- তোর বিয়ে দেওয়ার জন্য।
- এইবার বুঝলি কেনো হেডফোন লাগিয়ে রাখি? যাতে তোর এই আজগুবি কথাগুলো শুনতে না হয়।
- কি শুনিস এতো? সবসময় দেখি এই হেডফোন তোর কানে গুজেই থাকে।
- আমার যা ইচ্ছে শুনি। তোর কি?
- এই, বল না! ইন্টারেস্টিং হলে আমিও হেডফোন লাগাবো।
- লাগা না! না করলো কে?
- তোর কোনো অবজেকশন নেই তো?
- তোর টাকা! তোর পয়সা! আমার অবজেকশন থাকবে কেনো?
- আমার টাকা মানে? তুই টাকা দিবি। এবং কিনেও দিবি। আমি শুধু কানে লাগিয়ে হিরো হিরো পার্ট নিবো।
- হিরো আর তুই? ওই যে একটা ফকির দেখছিস! তার চেহারাও তোর থেকে হাজার গুন ভালো।
- ভালো কথা মনে করেছিস। তোর বিয়েটা আমি ওই ফকিরের সাথেই ঠিক করেছি। সে তোকে দেখেই নাকি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলো। তারপর থেকে এই থালা নিয়ে ঘুরে।
- তাকে তো সবসময় ওখানেই দেখি। ঘুরে কই?
- বাব্বা! বিয়ে ঠিক না হতেই খোঁজখবর রাখা শুরু হয়ে গেছে। ভালো। তবে যা-ই বলিস, তোদের জুটিটা কিন্তু মস্ত জমবে। কনফার্ম।
- আমি কানে হেডফোন লাগাচ্ছি। আর নিতে পারছি না তোকে।
- বর পেয়েছিস। এখন কি আর আমাকে চিনবি?
- দূর হো! শালা!
- বিয়ে পড়িয়ে শালা হয়ে গেলাম। তা-ও আবার নারীর। ভেরি ইন্টারেস্টিং।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।