এবং বৈশাখ
- শেখ মাফিজুল ইসলাম ২০-০৫-২০২৪

শুষ্ক-দাবদাহ, লু-হাওয়া-
বর্ষার ক্রন্দন থেমে গেছে বহু আগে;
চৌচির মাটির বুকে নাভিশ্বাসের পাণ্ডুলিপি;
মাটি মানুষ প্রকৃতি বিবর্ণ হলুদপাতা
পশু-পাখিও শান্তির নীড় চায়,
চায় বৃষ্টির পরশ।

মেঘ জমতে শুরু করেছে ঈশান কোণে;
ওই- যে নিকষকালো মেঘ, ভয়ার্ত আহবান।
এক পায়ে দাঁড়ানো ঝুটিওয়ালা মোরগটি
জানে- এখনি বৈশাখী নটরাজ নৃত্য
শুরু করবে, তান্ডব নৃত্য।

মেঘ-বিজলীর অগ্নিঝলক,
লুকোচুরি খেলা এবং মেঘ গর্জন;
কচি শিশুটি মুখলুকায় মায়ের বুকে
পক্ষি-শাবক নিজেকে সেঁদিয়ে দেয়
লোমশ ডানার নিচে,
মা ভাবে এটায় নিরাপদ আশ্রয়।

মাঠ থেকে ফিরে আসে কিষাণ-কিষাণী
ফিরে আসে মাঝিমল্লার সারেং
হাট-ফেরতা মানুষ দ্রুত পা চালায়
স্মরণ করে স্রষ্টাকে।

ঝোড়ো হাওয়ায় উন্মাতাল বৃক্ষরাজি
বিদ্যুৎ-পৃষ্ট মেঘ ছুটছে তো ছুটছেই
অকষ্মাত এক পশলা বৃষ্টি !
শান্তি- স্বাস্তি- প্রশান্তির নামান্তর।

মাটির সোঁদা গন্ধ বৈশাখী মেলায়
ফিরিয়ে দেয় আনন্দের গাঢ় আমেজ;
বিরহী যক্ষ যেদিন মেঘদূত পাঠায়
অলকায়, সেদিন হয়তো ঈশান
কোণের মেঘকে ভোলেননি তিনি।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।