মৎসকণ্যা
- নীললোহিত গৌতম - "কবিতা আজ ও আগামি" কাব্য সংকলন ১৭-০৫-২০২৪

শুনেছি, সমুদ্রের রহস্যের গভীরে কোথাও মৎসকণ্যা থাকে।
রাজা-রাণী-রাজকণ্যা শুধু স্থলেই থাকে তা নয়,
জলের বিস্তারেও তাদের সাম্রাজ্য ছড়িয়ে আছে সুবিশাল সমুদ্রজুড়ে।
শুনেছি, সেই সুন্দরী মৎসকণ্যারা পূর্ণিমার রাতে জ্যোৎস্নার লোভে জল থেকে উঠে আসে তীরে।
তাদের যারা দেখেছে, সেই সব প্রাচীন নাবিকেরা প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়েছিল।

দীঘার সমুদ্র তীরে সন্ধ্যায় বসে থেকে
মায়াবি ঢেউয়ের নেশায় মনে পড়ছিল সেই রূপকথার গল্প।
স্বপ্নের ঘোর কাটলো একটা মেয়ের কথার শব্দে
সে আমার খুব কাছে একটা পাথরে এসে বসল।
সেদিন আকাশে উঠেছিল দোল পূর্ণিমার চাঁদ
সেই জ্যোৎস্নায় তার শরীর রূপোলী আঁশের মতো চকচক করে উঠল এক মুহূর্তের জন্য...
আমি তার দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারিনি,
নাবিকের মতো বিস্ময়ে চেয়েছিলাম, সে হয়ত লক্ষ্যও করেনি।

বড় ইচ্ছে হল একবার কাছে গিয়ে জানতে চাই-
"তোমার কী নাম?"
একবার তাকে বলি,
আমারও বড় ইচ্ছে সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্যকে দেখার,
"তুমি নিয়ে যাবে আমার হাত ধরে,
দেখাবে তোমার রাজ্য?"

এক মানবীর কাছে যা চেয়ে পাইনি
এক মৎসকণ্যা তা কি ফিরিয়ে দেবে?
সমুদ্র তো উদার
মৎসকণ্যা, তুমি তো সমুদ্রের মেয়ে!
তবু সাহস হল না কিছু জিঞ্জেস করার
শুনেছি, মৎসকণ্যারা বড় লাজুক
কী জানি, কাছে গেলে যদি সে সমুদ্রের ঢেউয়ে হারিয়ে যায় আবার।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।