অন্য মানুষ
- মকিজুর রহমান - মুক্তবীণা ২১-০৫-২০২৪

গতকাল ভেবে ছিলাম,লিখবো না
আর কোন কবিতা,আঁকবো না আর কোন ছবি।
মা আমাকে বলে আমি নাকি পাগল হয়ে গেছি,
আমি ভাবি তাই,পাগল না হলে কি কেউ?
মাঝ রাতে উচ্চ স্বরে কবিতা আবৃতি করে।
এই তো সেদিন,জীবনের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হলে,
বাবা আমাকে বলেছিলো,
কবিদের ঘরের চালে ছন থাকে না,
তখন কি বুজে ছিলাম জানি না,
তবে আজ ভাবি
আমার কোন ঘর নেই,ঠিকানা বিহীন পথ চলা আমার।
মাঝে মাঝে নিরবে কাঁদি,কোথাও বাঁধি একটা সুখের নীড়,
আবার জীবন বিরহে, ভাবি কোথায় হবে আমার শেষ ঠাই,
মাটির গহিনে অন্ধকার কুঠিরে,
নাকি কোন নদীর গভীর গহীনে,
মাছ আর জলস প্রাণীদের খাদ্য থলির ভিতরে,আবার
দেখি কত মানুষ আগুনে পুড়ে ঘর বাঁধে ময়লা ভর্তি ডাস্টবিনে,এমনি আমার হলে ক্ষতি নাই।
জীবনে কখনো কার ভালোবাসা পাইনি,
পেয়েছি শুধু অবহেলা,
হিংসায় পুড়ে আজ আমি পাথর হয়ে গেছি।
আমার বন্ধু বলেছিলে শিশুদের জন্য লিখতে,
আমি শিশু নই,
আমি তিরিশ বছরের দুরান্ত যুবক,
যৌবনের ঝাল্লাসে এক অবিনাশি রাজা,
আমার বুক জুড়ে আছে,রক্ত কবরির মত দুঃখ কষ্টের এক গুচ্ছ কবিতা।
হ্নদয় জুড়ে না পাওয়ার বেদোনার গল্প,
যে বট বৃক্ষের ছায়ায় বসে আমি কবিতা লিখতাম,
আজ তা দাঁড়িয়ে আছে,
পাতা হীন মরা একটা বাট।
কোথায় কোন ছায়া নেই,
চারিদিকে কালো ঘুটঘুটে আন্ধকার,
কোথাও জ্বলেনি এক চিলতে আলো।
দহনে দহনে জ্বলে আমার হ্নদয় চিড়ে জমে আছে কান্নার বিষাক্ত জল,
কাঁদতে পারিনা বন্ধী আছি পরাধীনতার শিকল পরানো আমার পায়,
স্বাধীনাতার জন্য,দিলাম কত রক্ত,কত লাশ,তবুও অভিমানে এলেনা সে আমার কবিতায়,
কত মানুষ ডেকেছে তারে,একবার এসেছিলে
কি কারণে তার অভিমান, বুজতে নাহি পারিলাম।
কোন বেদনা আমার বুকে,বুজলো না তা কেহ
সবাই দেখে মুখের হাসি,
জানে না তার ভিতর বাড়ি দুঃখে কুড়ে খায়,
কত যত্নে লাগিয়ে ছিলাম শীষ বিহীন গোলাপ,
কত বার এলে পুস্ম মুঞ্জরি, ফুলনি ফোঁটে আজও
যে দিকে যাই,
সবাই আমার পর,আমার আপন কেহ নেই,
জগতে,আমি কি তা হলে অন্য মানুষ,
এ প্রশ্নের উত্তর জানে,
আমার ঈশ্বর।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।