বিদ্রোহী স্বপ্ন
- মকিজুর রহমান - মুক্তবীণা ২১-০৫-২০২৪

নগরের পথে হাজার বছর আগে সৌম্য পুরুষ
বুকের সীমান্ত খুলো বিছিয়েছে স্বপ্নের চাদর,
অসংখ্য ক্ষতের আন্দোলনে কেবলই ভূগোলে
দীর্ঘ মহাকালের মিছিলে আগুন জ্বলে কতযুগ।
মুক্তির গান গাইবো, ভাষণে কিম্বা সংলাপে;
বুলেটের অন্তিম সভ্যতার দরোজায় মানবতা
স্লোগান তরঙ্গে তরঙ্গে প্রভাতের পানে পাতিয়া কান
জীবনের কাছাকাছি আর্তনাদ করে ভেতর-মানুষ
মানুষের নিষ্ঠুরতা সহস্র বর্ষ দুচোখের জলে
স্রোতস্বিনী নদীর জলরেখার ঝর্ণার গান।

কেবল শূন্যতা, মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস
সুনীল সাগরে দুর্ভিক্ষের মুখে ফেলে এসেছি,
অসহায় হয়েছে মানুষ, মানুষে শুধু সহজে ভোলে
আবেগের কথায় অঙ্কুরিত একটা ভাষা।
স্বাধীন স্বতন্ত্র কবিতাগুলি সবুজ মানচিত্র,
পেরুলে আমি শিউরে উঠি কম্পমান ক্রোধে,
কোথায় ভাসাবে, কেঁপে ওঠে যেন আমার বুক
কৈশোর-যৌবন লুকিয়ে,সমস্ত শহরের আকাশে মেঘ
কখন ফুটবে স্বপ্নের গোলাপ, উত্তপ্ত মরুভূমির বুকে অনায়াসে।

বেদনাবিধুর কন্ঠস্বরে প্রশ্ন করতে পারিনি!
আকাশকুসুম দুঃখের সাতমহল এই উপহার,
তাকাতেই আমি সুপ্রাচীন প্রসিদ্ধ নগরীর;
জমাট মঞ্চের চতুর্দিক হয়েছে স্বরাট আয়নার মতো,
বঙ্গদেশে মানুষের হৃৎপিন্ডের যন্ত্রণায় শাপলা ফোটো।
দু:স্বপ্নের রাত স্বপ্নের চোখে অন্ধকার,
লাল রক্তের প্লাবিত করে লাল তীব্র আগুন!
অনায়াসে একটি স্বপ্নের জন্যে আমি কথা বলবো
চিরকাল।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।