শেষ দেখা
- হান্নান গাজী - মায়াবিনী ১৪-০৫-২০২৪

দিনটি ছিল রবিবার
তাই ভাবলাম একবার না হয়
প্রিয়তমার সাথে দেখা করে অাসি।
যেই ভাবনা সেই কাজমত যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তান।
উদ্দেশ্য যাব চকবাজার।
তাই গুলিস্তান থেকে লেগুনার সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে অবশেষে উঠে বসলাম।
কিছুদূর যাওয়ার পর জ্যামের কবলে পড়লাম।
তাই জ্যাসিকাকে ফোন করে বললাম এই শোন অামি অাসছি তুই থাকবি কিন্তু।
এতটাই প্রচন্ড জ্যাম ছিল যে, গাড়ীটা যেন নড়ছেইনা।
ঐদিকে জেসিকার ফোন এল।
রিসিভ করতেই বললো অর্ক কোথায় তুমি?
অচেনা শহর বলে ঠিকঠাক বলতে পারিনি অামি কোথায়।
শুধু বললাম অামি অামি অাসছি রাস্তায়।
অথচো জ্যাম ছেড়ে কখন তার কাছে পোঁছাবো অামি জানিনা।
ও অামার উপর রাগ করে ফোন কেটে দিল।
অামিও বসে বসে ভাবছি অার কতদূর অামার গন্তব্য।
ভাবতে ভাবতেই অাবার ওর ফোন।
ও বললো শোন অামি ডিএমসি তে অাছি ওখানে চলে অায়।
গাড়ীর হর্ন অার ওর কাছে পোঁছানোর চিন্তা অামাকে ডিএমসির বদলে টিএসসি শুনিয়েছে।
অচেনা শহর বলে পাশে বসা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই ঢাকা মেডিকেল কতদূর?
লোকটা খানিকটা অবাক হয়ে বললো ভাই গাড়িটা ঢাকা মেডিকেল-ই দাঁড়িয়ে।
অামি কিছুটা লজ্জিত হয়ে নেমে গেলাম।
তারপর ঢাকা মেডিকেল গেট পার হয়ে টিএসসির উদ্দেশ্যে রওনা হোলাম। ওর কাছে পোঁছানোর জন্য অামি এতটাই পাগল ছিলাম যে, ওকে একবারো ফোন দেইনি তুমি কোথায়?
অার ও অামায় দেয়নি।
ভাবছি টিএসসিতে গিয়ে ওকে সারপ্রাইজ দিব।
হাঁটতে হাঁটতে অনেকদূর এলাম কিন্তু টিএসসির খোঁজ পেলাম না।
ভাবলাম কাওকে জিজ্ঞেস করি।
আর তাই হোলো।
লোকটি বললো একটা রিকশা নিন বিশ টাকা নিবে।
ত্রিশ টাকা ভাড়া করে টিএসসিতে পোঁছে ওকে ফোন দিলাম।
অামি অাসছি তুমি কোথায়?
ও বললো অামি নতুন ভবনে।
ওকে বললাম দেখো অামি নতুন এই শহরে।
তাই নতুন ভবন অামি ছিনিনা।
বরং তুমিই এখানে চলে এসো।
যেখানে অামরা প্রথম বসে কথা বলেছি।
ও বললো কোথায়?
অামি বললাম বাদ দাও বরং তুমি যমুনা ব্যাংকের নিচে চলে এসো।
ও বললো অর্ক তুই পাগল হয়েচিস?
তুই টিএসসিতে কেন গেলি অামিতো ডিএমসিতে।
হঠাৎ খুব কষ্ট হলো ঝেধ করে বললাম।
যাহ্ তোর সাথে দেখাই করবোনা।
তারপর মনে হলো অাসলাম যখন ওর সাথে দেখা করেই যাই ভিষন ভালো লাগবে।
তাই অাবার রিকশা করে ডিএমসির উদ্দেশ্যে রওনা হোলাম।
রিকশায় বসে ভাবলাম অামি রাগ করে ফোন কেটে দিলাম অথচ সে একবারের জন্যও জানতে চায়নি অামি কোথায়।
দীর্ঘশ্বাঃস পেলে অবশেষে ঢাকা মেডিকেল অাসলাম।
রিসিপশনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ভাই ব্লাড ব্যাংকটা কোথায়?
উনি বললো নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায়।
ঢাকা মেডিকেলটা চেনা অাছে বলে নতুন ভবন চিন্তে খুব একটা কষ্ট হয়নি।
সোজা নতুন ভবনে গিয়ে বসে রইলাম জেসিকার পাশে বসা ছেলেটির পাশে।
ও অামাকে দেখে বললো কেমন অাছিস অর্ক?
চুপচাপ বলে দিলাম ভালো।
তারপর যা হলো অামি চুপচাপ।
অার ও অার ছেলেটি ফোন নিয়ে ব্যাস্ত।
বিশ্বাস তখন খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
তারপর অভিমান করে অামার দূরত্বে এসে বসে থাকা।
অার ও অামার সামনেই ছেলেটির গা ঘেসে বসা। যা অামাকে এতটাই যন্ত্রনা দিয়েছে যে, যা সহ্য করার ক্ষমতা হয়তো অামার ছিলোনা।
তাই বললাম জেসিকা অামি চলে যাচ্ছি ভালো থাকিস।
তারপর এক বুক কষ্ট বুকে চেপে ওকে লাষ্ট টেক্সট করে লিখলাম,
অাজই তোর সাথে শেষ দেখা। হয়তো এর পর অার কখনো তোর সাথে দেখার ইচ্চে হলেও করবোনা। কারন তোর সাথে যতবারই দেখা করতে অাসি ততবার এক বুক কষ্ট নিয়ে বাসায় ফিরতে হয়। অাজও তার ব্যতিক্রম নয়। অাজ তুই বড় ফেমাস। তাই তোর ফেমাস জীবনে অামি অার কখনোই অাসবোনা। জানি তাতে তোর কিছুই অাসবেনা। ভালো থাকিস

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।