বহুদিন পর ছুঁয়েছিনু
- জাহিদ হাসান নাদিম - সৌপ্তিক ২০-০৫-২০২৪

বহুদিন পর শ্রেণির বইগুলি ছুঁয়েছিনু হাতে, দুপলক ফেলে দীর্ঘশ্বাসে ভরেছিল ঘর।
বইয়ের পাতা গুনে মাথায় পড়েছিল বাজ, ছিড়েছিনু চুল, ভিজেছিনু লোরে,
সে যেন নতুন জগতে এসে পড়েছিনু আমি, পড়েছিনু সে এক দূর্ভেদ্য ঘরে।
বহুদিন পর শ্রেণির বইগুলি ছুঁয়েছিনু হাতে, দুপলক ফেলে দীর্ঘশ্বাসে ভরেছিল ঘর।

বহুদিনের বিচ্ছেদের পর প্রেমিকা কাছে এলেও যেমন একটা ভৌতিক দূরত্বে থাকে,
দূরত্বের সাথে আরও মনে হয়, মোটাও হয়েছে ঢের, আজ বইটিও তেমন প্রেমিকা।
অনেক মোটা হয়ে গেছে সে, প্রহর কেটে যায় তবু শেষ হয়না এক অধ্যারের ভূমিকা।
আজ বইটিও যেন কাছে এসেও অনেক দূরে, চিনেও খুব অপরিচিত মনে হয় তাকে।
প্রশ্ন করি, এত্ত মোটা হলে যে হঠাৎ! এত্ত দূর্ভেদ্য হয়ে গেলে কেন? মজা অনেক কাঁদিয়ে?
আর কত প্রহর পর শান্ত হবে, সিগ্ধ হবে, ভেদ্য হবে গো আমায় জ্বালিয়ে?
কোন অভিমানে জানি না গো প্রিয়া, কাছে এসেও কেন হয়ে আছো পর?
বহুদিন পর তোমায় ছুঁয়েছিনু হাতে, দুপলক ফেলে দীর্ঘশ্বাসে ভরেছিল ঘর।

কত যতনে আদর করেছিনু, প্রেমেতে রাঙিয়েছিনু তোমার নগ্ন শরীর,
আজ সে শরীরে ধুলোবালি জমা, জীর্ণতা ধরেছে শরীরের নানা ভাজে,
আমিহীন এত্ত অবহেলা করেছো নিজের! পতঙ্গরা যেন ছিড়ে খেতে চেয়েছিল,
চেয়েছিল যে আরও কত কি! যাই হোক, তাই বুঝি এ অভিমান? বিরহে কষ্ট হয়েছিল?
অভিমানে বুঝি অবোধ্য হয়ে গেছো? বুঝনা কেন ব্যস্ত থাকি আমি নানান কাজে!
বহুদিন পর তোমার শরীর ছুঁয়েছিনু হাতে, দুপলক ফেলে দীর্ঘশ্বাসে ভরেছিল ঘর।
বহুদিন পর শ্রেনির বইগুলি ছুঁয়েছিনু হাতে, দুপলক ফেলে দীর্ঘশ্বাসে ভরেছিল ঘর।

এ মূর্খ আজ আকাশ-পাতাল ভেবেও অবোধ্য বইয়ের পাঠ বুঝতে পারেনি।
যে শরীরের গন্ধে একদিন মাতাল হতাম, মোহ মুগ্ধ হয়ে থাকতাম সারারাত,
কোন এক অজানা কারনে তারে করেছিনু পর, ছেড়েছিনু সে সিগ্ধ কোমল হাত,
এ মূর্খ আজ আকাশ-পাতাল ভেবেও অবোধ্য সে শরীর বুঝতে পারেনি।
তার নগ্ন দেহে আর নেশা লাগেনা, হয়না এ মন সে শরীরে বিভর,
বহুদিন পর তার শরীর ছুঁয়েছিনু হাতে, দুপলক ফেলে দীর্ঘশ্বাসে ভরেছিল ঘর।
বহুদিন পর শ্রেনির বইগুলি ছুঁয়েছিনু হাতে, দুপলক ফেলে দীর্ঘশ্বাসে ভরেছিল ঘর।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।