দেবীর মতো
- বৈশালী গাঙ্গুলী ২০-০৫-২০২৪
পেছন থেকে ডাক শোনা যায়; সময় করে তাড়া -
কিছু জীবনের গল্প স্বাভাবিক-
বসন্ত পঞ্চমীতে মনে পড়া।
চিলের মতো দৃষ্টিতে,
আট ক্লাসের কেউ দেখতো
স্কুলের ঘড়ির কাঁটা-
এগেরো ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসতো তার মেয়েবেলার প্রেম,
বাজলে ছুটির ঘন্টা।
যদিও দাদাটা কষ্টে ডাকতে হতো, ওটাই ছিল চলতি সমাজের ধারা।
তখনকার দিনে, বসন্ততেই
পাহাড়ের শিখর চাপতো,
সদ্য যৌবনের মনের পারা।
লাল শাড়ি, সোনালি ব্লাউজ,
নতুন বৌদিমুনির গয়না।
সব দিয়ে সেদিন সেজেছিল সে,
দেখতে ভুলে গিয়েছিল আয়না।
মন্ডপের ধুপ- প্রদীপের আলোতে,
খোলা চুল,কাজল কালো চোখ একটি বুককে সংহার করে,
অজানা মন্ত্র মুগ্ধতাতে!
প্রসাদ বিতরনের সময়,
হঠাৎ স্বপ্নের মানুষটি ঝুঁকে বলে কিছু কথা-
ওই সুরের আবেদনের জালে-
বুকে আজও ওঠে মিষ্টি ব্যথা!
হাজার বসন্ত পেরিয়ে-
শেষ আর প্রথম ভালোবাসাকে
ভুলবে সে কেমন করে!
আজও দেবী দেখেই তার-
ওই কথাগুলো মনে পড়ে-
"তুই জানিস আজকে লাগছিস স্বয়ং -দেবীমা"
তারপর নিস্তব্ধতা-
এতো কি আর মনে থাকে,
কি ভাবে জড়িয়ে ধরেছিল,চোখের পাতা।
ভেজা ঠোঁট কেটেছিল, কতবার শুকনো পাথরে,
ছুঁচলো নখের আঁচড়ের কথা,
মনে রাখতে সবাই বারন করে।
দেবী যে- একটি বসন্তেই ভালো থাকে বেদী জুড়ে।
ব্যবহারিক শাস্ত্র নবিশদের নিয়মে-
পরের বসন্তে রেখে দিতে হয় দূরে।
নতুন, নতুন কত ছেলে-মেয়ে
পালা বদলে স্কুলের চত্বরে ঘুরে।
সব দেখে দিদিমুনি এখন,
প্রথম বসন্তের দেবীর উপমা-
দীর্ঘনিশ্বাসের সাথে, মনে করে।
======================
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।