কামার্ত
- তিরোহিত ধানিকা ১৭-০৫-২০২৪

কামার্ত শিশু বলে ভরা মজলিসে আমাকে দেখানোর পর
আমি আর মাথা তুলতে পারি না ;
চারদিকে শতমুখ চেয়ে আছে ,
চাতকের তৃষ্ণা নিয়ে তাদের সে কি উত্তেজনা ;সবাই কিছু শুনবে ।
এতকিছু করেছে আমার ছোট কাকা ;
এক নিদারুণ কষ্টের মানুষ , যে প্রেম করেনি ;
কাম ও অপরাপর যৌন জীবন চলে নিখুঁতভাবে --
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ।


আজ আমি কাকার মজলিসে ;
কাম নিবৃত করতে বা অন্য কোন তদীয় খারাপ কিছু নয় ;
কাকা আজ আটত্রিশ ছুলো , সাইত্রিশ পেরিয়ে । তাই পার্টি ।
আমি নিলাদ্রি কে ভালবাসি ;
কদিন আগে যখন সগর্বে ঘোষণা দিয়েছিলাম বিয়ে করবো ,
এরই ফলশ্রুতি এই বিড়ম্বনা ।

আমি মেনে নিয়েছি , আমি কামার্ত ;
ক্ষুধায় , তৃষ্ণায় আজ আমি বাতিকগ্রস্থ;
হাসিমুখে সামনে আসন নিয়ে বললাম , কাকা -
তোমার নষ্টকরা গোলাপের কলিগুলো
আমার বাকি জীবনে লাগাতে পারবো না ।


মুচকি হেসে কাকা মুখ ঘুরিয়ে নিলো , নীল হল ।
কিছুটা শশব্যস্ত । আমি ফিরি স্মৃতি ঘেঁটে ।


নিরু, পুরোনাম নিরুপমা ।
জানলার ফাঁক দিয়ে দেখেছিলাম বলে
নিরু মাসি কাকার বিড়ির আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল পা ।
কিছু ই দেখতে পাইনি সেদিন ওরা কি করেছিল।
আমি কেঁদেছিলাম , ওরা হেসেছিল ।


কাকার জীবনে নিরু ই শুরু নিরু ই শেষ
এর মাঝে শতশত বারঙ্গনার যাওয়া আসা
নিয়মিত সময়ের ব্যবধান , চলছে বিরামহীন ।
তাই তিনি কামার্ত নন ।
অথচ দ্যাখো আমি কেমন কামার্ত!




(কবিতার জন্য পাগল দা তোমাকে । তুমি নাকি অনেক দিন আমার লেখা পড়ো নি )

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।