অানন্দ - অশ্রু
- মেহেদী হাসান সাকিব ২৩-০৪-২০২৪

সবজী ক্ষেতের ফলন এবার
বাড়িয়ে দিও খো'দা
রহিম চাচার বাছুরটাকে
সারিয়ে দিও খো'দা।
পাড়ার বুড়ির রোগের কষ্ট দূর করে দিও ঠায়,
কবর দেশের ছোট ভাইটা অাজও কি ব্যথা পায়?
হামাগুড়ি দিয়ে সারাঘরে সে লুটিয়ে ছুটিত হায়।
বানের জলের অাগ্রাসী স্রোত
দমিয়ে দিও খোদা,
ছেড়া ব্যাগে স্কুুলে যেতে মোর
হয়না কো যেন বোঝা।
দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেন বাচি
সাথে চিলতে শালুম,
হাজার বছর এভাবেই রেখ
হয়না কো যেন মালুম।
গরীব ঘরের ছোট সে ছেলে,
মাঙ্গে খো'দার তরে।
অাবুঝ কথায় বুঝ যেন তার
ঝড়িয়া ঝড়িয়া পড়ে।
দোয়া শুনি ছেলের কৃষক পিতা
অশ্রুসজল চোখে,
অাকুতি জানায় খো'দার পরে
বাছা টারে কবুল করে।
সেদিন বানের জলে যে তার
ডুবিয়া গেল ধন,
দু-মুঠো ভাত খেতে না পেরে
ছটফট বাছার মন।
পড়ালেখা করি বড় হবে বাছা,
ভরসা তায়ে সব
ছেড়া ব্যাগে স্কুলে যেতে তাকে
কুড়ায়ে খায়ে সব।
তবু সে যে মুখ ফুটিয়া কহে'না
ব্যথার কথা,
মন যে পিতার অানচান করে
সহেনা যে সে কথা।
রোগের তোপে ছোট মেয়েটা অকালে গেছে চলি
বাছা ছোট মোর নির্বাক চোখের সজল পানি
ফুপিয়া ফুপিয়া গণি।
রহিম চাচার বাছুর টা অাজ,
বাছার চক্ষের ধন,
যত কথা সব, নির্বাক চোখে
শোনে সন্তর্পণ।
নতুন করিয়া বাবা যে তার
সবজি বুনিয়াছে অাশে,
সবকিছু বোঝে বাছা যে তার
বোঝে পিতার দশা,
হাজার দু:খের অকুল পাথারে
পিতা মাঙ্গে খোদা'র কাছে
সুখ থাকুক বাছার অামার
সারাজীবন পাশে।
(মেহেদী)
১১.০৫.১৭ ইং
রাত ১১:১৯

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।