যে উপন্যাসের কোন নাম নেই!
- মেহেদী হাসান সাকিব ২০-০৪-২০২৪

চোখে প্রগাঢ় ঘুম,
এই ঘুমেরই মাঝে নিউরনগুলো অনুরনন করে যাচ্ছে!
হাতে সময় খুব কম,
খুব দ্রুতই লাভ-লোকসানের হিসেব কষতে হবে যে!
কিংলাক পাহাড়টাকে বেচে দিয়ে রূপকথার একটা পুরো রাজ্য কিনে নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।
কিন্তু মানুষ বড়ই অদ্ভূত, ঐ পাহাড় নয়, একটি অাস্ত মহাসমুদ্র কিনে তাতে হাবুডুবু খেতে খেতে জীবনটাকে পার করে দেয়াই তার কর্ম।
রূপকথাও মানুষের জীবনের কাছে হার মানে।
আমার হাতে সময় বেশি নেই,
৫৯-৫৮-৫৭- ৫৬-৫৫ এভাবে করে টিকটিক ঘড়িটা আমাকে নিয়ে যাবে।
এই সময়ের সাথে আমি বিলীন হয়ে যাব,
শুধু গল্পগুলো রয়ে যাবে।

এ প্রগাঢ় ঘুমের এক প্রান্তে আমার পাশের মানু্ষগুলো তার জীবনপটের গল্প লিখে চলছে,
আর আমি!!
আমি অামার সকল গল্পের ইতি টেনে একটি দাড়ির অপেক্ষার প্রহর গুনছি।
অাচ্ছা, প্রতিটি মানুষেরই তো জীবনের এক - একটি গল্প থাকে,হোক সে বলা কিংবা না বলা।
আজ অন্তিমে এসে আমার সেইসব না বলা গল্পগুলো খুব করে বলতে ইচ্ছে করছে,কিন্তু আজ আমি নির্বাক।
মুখের বুলি, চোখের দৃষ্টি সবকিছুই আমার সাথে বেইমানী করছে।
তবে একটা প্রশ্ন বুক ফেটে বের হয়ে অাসছে...
বিধাতা কেন গল্পকথকদের বেশীদিন বাচিয়ে রাখেন না,
জগৎ কি তবে নতুন নতুন গল্প ভালবাসে!
আমি কি দোষ করেছি তবে,
আমি তো জগৎটাকেই ভালবেসেছিলাম।
যেতে যেতে এখনও আমার প্রচন্ড ইচ্ছে করছে আমার সামনে দাড়ানো মাঝবয়সী মেয়েটার চোখের গল্প লিখতে।
ঐ চোখে কত না গল্প-রূপকথা জমে আছে,
কেউ পড়তে পারে, কেউ বা পারে না।
আমিও তেমন ভাল চোখের ভাষা বু্ঝি না,
সে জন্য আমার কত না অনুসন্ধান,
কিন্তু আজ, হঠাৎ করেই চোখের ভাষাগুলো আমার কাছে স্পস্ট।
ঐ চোখেই লুকিয়ে অাছে রাগ, হিংসা, স্বপ্ন, ভালবাসা, প্রেম, গভীর অনুরাগ,অনুযোগ
সবকিছুই, শুধু সেগুলো খুজে নিতে হয়।
কিন্তু জীবনের সন্ধিক্ষণে এসে সেগুলো আমাকে খুজছে, কিন্তু অামার এগুলোর কিছুরই দরকার নেই।
এত চোখের ভীড়ে অাজও আমি ঐ একটি চোখই খুজে চলছি,
সে চোখ চোখ নয়,রূপকথা।
ঐ চোখে ডুব দিয়ে সাত - সমুদ্রুর ঘুরে অাসা যায় নিমিষেই,
সে চোখ আর কখনো খুজে পাব কি না জানিনা।

জানিনা আর কতক্ষন আইসিইউর কৃত্তিম অক্সিজেন,
আমার চোখের জ্যোতি ধরে রাখবে,
জানি না।
শুধু জানি, আমি চোখ বু্ঝলেই রচনা হবে গল্প নয় উপন্যাস।
তবে সেই উপনাস্যের কোন নাম নেই।


মেহেদী হাসান
১৫/০৭/১৯
রাত ৩:১৭

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।