বিকৃত শিল্প
- এস.এম. আরিফ ২০-০৫-২০২৪

আমি শিল্পী।।
আমার নির্মিত চিত্রকর্মের বর্ণনা শুনবে?
আঁতকে যেও না! সেই বিচিত্র শহরের সভ্যতায়।
শহরের পর শহরের সমাজ নেই সেখানে
যেন একাকিত্বের পৃথিবী একটা।
আদি -অন্ত জড়িয়ে আছে আর্তনাদের গল্প।
শহরের অলিগলিতে নেই সভ্যতার ছিটেফোঁটা
যত সামাজিকতা সমাজের পরতে পরতে
স্বামীবিয়োগে স্ত্রীর রক্তাক্ত শাড়ি
রং-বদলায় মুহূর্তেই।
উপাসনালয়ের দেওয়ালে লেপ্টে থাকে
যৌন - বর্ধক ওষুধের বিজ্ঞাপন।
পোস্টারে দেখা যায় ভালো মানুষ।
ধ্যানমগ্ন মনুষত্ব-ধারকের বুকের ওড়না কেড়ে নেয়
যৌন- লালসায় ক্ষুধার্ত একদল পিচাশ
হত্যাকারীর স্বজন ঝুলে ভুল বিচারে
অসহায় অশ্রুর মৃত্যু অবোধ বুক ছাড়া
কেউ জানে না।
যত সভ্যতা জানে আমলারা
"ছিঃ ছিঃ একথা এখানে বলবেন না
লোক সমাজ বলে কিছু থাকে না।"
বলেই পাশের রুমে নিয়ে ধর্ষণের গল্পে
মন ডুবিয়ে ভেসে যায় সৈনিক।
রহস্যের গল্পে উম্মুখ থাকে যুবকেরা
সময়ের স্রোতে ভাসে স্বপ্ন, ভাসে সততা।
এ শহরের অলিগলিতে দেওয়ালে দেওয়ালে
মাতালদের শেষরাতের কিছু অবুজ আবেগ
হাস্যকর হয়ে উঠে সূর্যের সাথে সাথে।
ধর্ম সাজিয়ে নাটকীয় অভিনয় এ শহরে
নিত্যনতুন কিছু নয়।
রঙিন আলোয় ঝলমলে নগ্ন নৃত্যের আসর
সামাজিকতা মেনেই রাতে বসে।
সমাজ সব মানে শুধু মানতে চায় না
নিষ্পাপ কিশোর কিশোরীর প্রেম;
এ শহর বড় আজব শহর।

একসাথে থাকা যায়
কিন্তু থাকলেই যে বিয়ে করতে হবে
এমনটাও নয়!
অনুভূতির পেশাদার খেলোয়াড়
এখানে ভাড়ায় চালিত।
অর্থের নিমিত্তেই এ শহর রোজ বেঁচে দেয়-
স্বার্থপর নাগরিকরা ,
সস্তা -অল্পস্বল্প দামেই প্রয়োজন বুঝে।
এ শহরের দেওয়ালে রক্তের ছাপ মুছে যায়
রং-মিস্ত্রীর তুলির আচঁড়ে
ঝলকায় সভ্যতার রূপ।
রাজপথেও মুছে যায় ইতিহাস
বিশ্বাসঘাতকেরা সত্যের গান শুনিয়ে
ঘুম পারায় নাগরিকদের;
নগর জীবন হয়ে উঠে বিষাক্ত
নৈশ-আর্তনাদ মিশে যায় শহরের বাতাসে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।