মধুরিমাঃ এলে তুমি অবেলায়
- রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক ১৭-০৫-২০২৪

অন্ধকারে হঠাৎ করে
চমকে উঠলাম
অকস্মাৎ!
একি তুমি!
চিলেকোঠার ঘরে নিকোটিনের গন্ধে
তখন সেই রকম অবস্থা।
কিছুটা চেনা গন্ধে সন্দেহ ভরা চোখ
খুঁজতে থাকে চেনা কিছু ।
এশার আযান চলছে কাছের মসজিদে তখন।

অন্ধকার, তবু বিড়ির আগুনের আবছা আলোয়,
তোমার অঙ্গভঙ্গির সঞ্চালনে , ভঙ্গিতে
স্থির সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলো মস্তিষ্ক।

তুমি!
এযে তুমি!
এতো চির নবীন কমলিনী মধুরিমা।

হঠাৎ উদাস হলো মনটা,
বুকের মধ্যে গরম হাওয়া ঘুরে গেল একরাশ।
কেঁপে উঠলো দেহ,তনু, মন।
হিম বয়ে গেল শিরঃদাড়া বেয়ে!

তারপর নিমেষেই তীব্র ক্রোধে জ্বলে উঠলো অন্তকরণ!

সেই সময় কে যেন নিষ্প্রভ কণ্ঠে বলে উঠলো ,তুমি মনে হয়?
বিড়িটা এখন কি খুব বেশি টানো?
শরীরে প্রভাব পড়বে যে!

আমার বুকে এখন ও চির বিরাজমান অতল ক্রুশবিদ্ধ কষ্ট।
মধুরিমা ,শুধু তোমার কারণ।
তুমি ছিলে আমার শিয়াল কাঁটার বনে
মধুচক্রস্থিত স্ত্র্রীমক্ষিকা একসময়।
আমি বুকের থেকে ঘামের মতো মুছে ফেলেছি তোমার নাম বর্তমানে!

কি যে হলো হঠাৎ,
আমি রুক্ষ কর্কশ স্বরে চেঁচিয়ে বললাম,
তুমি ফিরে যাও মধুরিমা।
আমি এখন আর তোমার নই।
তুমিও এখন আর আমার নও।
তোমার আমরা পথ এখন দুটি দিকে।
তুমি এখানে কি চাও?
আমি পরস্ত্রীর সাথে কথা বলিনা।

তোমার চোখে কি জল এলো?
হয়তোবা।
অনেক সময় ব্যাথার কাঁটা ফুটিয়ে দিতে হয়,
ব্যাথার স্থানে।
যন্ত্রণা সারাবার জন্য।

তুমি ফিরে গেলে।
ক্লান্ত দেহ ভঙ্গিমায়।
আমার বুকটা আবারো কেঁপে উঠলো অপরিজ্ঞাত মর্মযন্ত্রণায়।
বুক চিনচিন সাথে মনস্তাপ ,পীড়ন।
এতো ক্লেশ অতর্কিতে কোথা হতে এলো কে জানে!

অভিসন্তাপ তো দুর হলো না যে কিছুতেই!!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।