ইতিহাসের পাতা থেকে
- বেলাল হোসেন খাঁন ২৩-০৪-২০২৪

অতীত বর্তমানের সেতুবন্ধন রচনা করে ইতিহাস, অতীতের জীর্ণ ধ্বংসাবশেষ বর্তমানে করে বসবাস। কৃতি মানের মৃত্যু হয় না যদিও পড়ে রয় চাপা, কিছু মানুষের অবদান কভু ইতিহাসে যায় না মাপা। চকচকে চেতনার ইতিহাসে সলিমুল্লাহর নাম, উচ্চারণের সাহস কোথায় কে জানে তাঁর দাম। যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ডিএমসি বুয়েট প্রাচ্যের অক্সফোর্ড, ছয়'শ একরের সে জমিনে রাখেনি নিজ নামের বিলবোর্ড। আঠারো'শ একাত্তরে জন্মানো অভিজাত ঘরের ছেলে, প্রথম জীবনে বিচারক হলেন নবাবীর মায়া ফেলে। আধুনিক ঢাকার জন্মদাতা ধর্মপ্রাণ মুসলিম নবাব, যাঁর আন্দোলোনে ঘুছতে শুরু মুসলিম কর্তৃত্বের অভাব। কেন্দ্রীয় সরকারের শোসন রোধে বঙ্গকে করেন দ্বিভাগ, গতানুগতিক ব্রিটিশ পূজা রোধ নেতৃত্বে ছিলেন অগ্রভাগ। মুসলিম বাঙালির জাগরণ কল্পে সলিমুল্লাহ নবাবের শ্রেষ্ঠ দান, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড প্রতিষ্ঠা বিতর্কে বিসর্জন দেওয়া নিজের প্রাণ। ঢাবি প্রতিষ্ঠার দাবিতে বড় লাটের টেবিলে চাপড়ানো হস্ত ছড়ি, লাট সাহেবের তোষামোদি দেহরক্ষী পান করিয়ে দিলেন শেষ বড়ি। উনিশ'শ পঁচানব্বই সালের সেই রক্তিম ষোল জানুয়ারি, কত বড় অকৃতজ্ঞ জাতি হলে পরে আজ বেমালুম ভুলতে পারি! ১৬ই জানুয়ারি ২০১৯ইং

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।