ভোজনের থালায় আমার ভাগ রেখো
- পঙ্কজ শীল ১৮-০৪-২০২৪

একদিন-
সবার মতো আমার আবেগী মনেও সীমাহীন ভালোবাসা ছিলো,
আমি ভালো-মন্দ,আলো-অন্ধকার সবাইকে ভালোবাসতাম।
বিশ্বাস না করলে খোঁজে দেখুন-
সন্তান হারা মায়ের বোবাকান্নায়
অজস্র কৃষক,শ্রমিক-মজুরের বেদনায়
মুচি,মেতর ও চণ্ডালের খাবারের থালায়

এভাবে সবাইকে ভালো বাসতে বাসতে
আজ আমি নিজেই শেষ হয়ে গেছি!
এখন শুধু কলিজাপুড়া বেদনা ছাড়া আর কিছুই নেই
তইতো কোনো মেয়ের প্রেমে পড়তে পারিনি জীবনে
আমার হৃদয়ে আর একবিন্দুও ভালোবাসা নেই
বলতে পারেন আমি ভালোবাসার কাঙাল!
দেবীর মতো দেখতে মেয়েটি; আমার প্রেমে পড়েছিলো
অথচ আমি তাকে ভালোবাসতে পারিনি!
ভালোবাসবো কীভাবে?
আমার হৃদয়ে ভালোবাসা থাকলে তো!
সেই মেয়েটির কাছে আমি আজন্ম পাপী!
জানি সেদিন ঈশ্বর সাাক্ষী ছিলো

ইস্! কতোই না কেঁদেছিলো সেই মেয়েটি
কিন্ত আমি তাকে ভালোবাসতে চাই
পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক্, আমি তাকে খোঁজে বের করতে চাই
কিন্তু পারিনা! পারিনা!! পারিনা!!! ইচ্ছে হয় মরে যাই
ভালোবাসতে গিয়ে বারবার তাকে ঘৃণা করে ফেলি!
হৃদয়ের দরোজা থেকে তাকে বারবার তাড়িয়ে দেই!
তাহলে কী সত্যিই আমার হৃদয়ে আর ভালোবাসা নেই?
থাক্! লাগবে না কোনও প্রিয়তমার ভালোবাসা

বিশ্বাস করো হে মুচি,মেতর,চণ্ডাল ভাই
আমি তোমাদের মাঝে ডুবে থাকতে চাই।
তার বিনিময়ে আমাকে ভালোবাসতে হবে না,
আমাকে ঘৃণা করে হলেও,ভালোবাসার অভিনয় করে হলেও
তোমাদের ভোজনের থালায় আমার ভাগ রেখো।

২৬/১২/২০১৯ইং

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

Dojieb
০৩-০৪-২০২০ ১৫:০৬ মিঃ

কবি শীল, আপনার ভক্ত না হয়ে পারছিনা। কতগুলো বানান বোধহয় ভুল হচ্ছে, তাতে পড়তে অসুবিধে হয়। একটু ঠিক করে নেবেন, আশা করা যায়।