চন্দ্রাবতী সিরিজ -১
- আবরার আকিব ২০-০৫-২০২৪

এ শহর তাহার কথায় জাগে, তাহার কথায় নিবে
এ শহরের রন্ধে - রন্ধে নিত্যদিন পচন ধরে
চন্দ্রাবতী এই শহরে বেড়ে উঠে মিথ্যা কাব্যের নায়িকা হয়ে
জীবন্ত গ্রাফিতি গেঁথে যায় সে রাতের আঁধারে এ শহরের জীর্ণ দেয়ালে,
চন্দ্রাবতীর ক্রন্দন প্রতিনিয়ত এ শহরের ঝুলন্ত জানালা হতে ভেসে আসে।
রাত শেষ হয় দিন আসে পূর্ব আকাশে জেগে উঠে নবরবি
প্রভাতের আলোয় এ শহরে ভেসে বেড়ায় একজন নপুংসক পরজীবি কবি
যাপনের ক্ষুধায় মিথ্যা কাব্যের আয়োজনে সে আঁকায় তার কবিতার ক্যালিগ্রাফি
শুরু হয় যান্ত্রিক এ শহরে ছুটে চলা যন্ত্রমানব দের ও কার্যলিপি,
এ সময় শহরের পুরনো এক প্রাচীরের সামনে ভাসমান শ্যাওলার মতন
দাড়িয়ে সেই কবি সহস্র চিৎকারে তার দুই ঠোঁট দিয়ে তার আওয়াজে ঘটায় বিষ্ফোরণ
সে বলে, 'তোমরা এ শহরে যন্ত্রের মতন উড়ে বেড়াচ্ছো কেনো?
আসো একসাথে বসি গল্প করি , হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের চুম্বনে গাই মানবের জয়গান!'
তারপর চন্দ্রাবতী কবির সামনে দাড়ায়!
কবি বলে 'চন্দ্রা এতদিন কোথায় ছিলে
কত খুঁজেছি তোমায়, আমায় ভুলে যেতে পারলে তুমি'
চন্দ্রা সহসা হেসে উঠে!
তার হাসির শব্দে সেই পুরনো প্রাচীর হতে কয়েকশত কাক ভেসে আসে,
চন্দ্রাবতী বলে উঠে, 'ওহে আহম্মক গর্দভ অর্ধউন্মাদ কবি,
এই যান্ত্রিক শহরে কেন আমায় বন্দী রেখেছিস তুই?
নিজের কাব্যক্ষুধা মেটাতে আমাকে ভেতর হতে আমিত্ব কে কে ছিনিয়ে নিয়েছিস তুই?
তোর মিথ্যা কাব্যের নিষিদ্ধ চরিত্র বানিয়ে আমাকে করেছিস এই সমাজের রক্ষিতা?
তুই এখন মানবতার গান গেয়ে
নিজেকে পরিশুদ্ধ করার বৃথা অপচেষ্টা করে কেন আমায় ডাকিস!'
এই বলে চন্দ্রা তীব্র আক্রোশে কবি আর তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে
আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়ে মিশে গেলো প্রাচীরের দেয়ালে!
দিন শেষ হলো রাত এলো,
সেই জরাজীর্ণ প্রাচীরের গল্প শহরবাসী সবার অজানা রইলো।
প্রতিনিয়ত কবি ও চন্দ্রবতী নিজেকে ভস্ম করে গ্রাফিতি আঁকে শহরের নিষিদ্ধ সব দেয়ালে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।