নীরব কবি
- হাসিব মহিউদ্দিন ১৪-০৫-২০২৪

বলতে আমি নিজের কথা নারি,
তাই লিখেছি কবিতা যে সারি;
তাতে মনে আজকে বাজে গান,
দুলছে যে আসমান।
চলছি আমি গাঁয়ের মেঠো পথে;
দুর্নিবার এ চলা যে নয় চলছি আমি রথে,
ছায়াবটের তলে আমি দাঁড়িয়ে আছি ভুখে;
নেমে গেছি রথ হতে যে সুখে।
একটি পাখি গাইলো যে গান শুনি;
পাশে বয়ে চলে যেন একটি নীরব ধুনী।
মন্দ্রিত তাল লয়ে,
গাইলো পাখি নিজের বেগে তাঁর সে গীতি বয়ে।
ভাবছি আমি কেমন করে গায়;
নদীর ওপার দেখি আমি চাষিরা দেয় সায়।
কবির চোখে ধরা পড়ে চাষিদের ঐ হাসি;
পাখির গানে মাতোয়ারা দেখতে ভালোবাসি।
বলবো কি আর কথা;
জাগেনা আর আমার মনে বলার ব্যাকুলতা,
শুকিয়ে গেছে নদীর জলে কমে গেছে জল;
হেঁটে চলে পেরোই ধুনী সলিল নেই অতল।
আমার মতো নির্বাক লাগে নদী;
দেখি নিরবধি।
ওপার গিয়ে আমায় দেখে চাষারা সব হাসে;
মূক আমি হায় রবির মতো ভাবি ভালোবাসে।
চাষিরা যে ফিরে পুনঃ কাজে;
বুনি কথা তাদের কথা আমার মনের ভাঁজে।
অমন করে কবির চোখে ধরা পড়ে ক্ষেত;
দুপুর শেষে বিকেল গড়ায় বুঝি অভিপ্রেত।
একটু পরে সন্ধ্যা নেমে জানায় কি যে আজ;
দেখি কারুকাজ;
নীরব তারা আর সে শশী দাঁড়িয়ে আছে জুড়ে;
আকাশ যেন খুঁড়ে।
জানিনা আর ছায়াপথে হবে কিনা হাঁটা;
সম্বিত ফিরে কবির মনে অযথা সব ঘাঁটা।
সকল দেখে ফিরে আসি মেনে নীরবতা;
সব দেখেছি বলতে নারি কথা।
লিখার মাঝে ফুটিয়ে তুলি মনন পটে ভাসে;
আবার দেখি দূরের ঐ আকাশে।
তখন আমার মনে হলো ধাতা দিলো মূক;
ধাতা নিজে মূক হয়ে রয় দেখে যে উৎসুক।
তেমন বুঝি আমার দ্বারা আজ;
মাখি আমি ধাতার কারুকাজ।
আজ পৃথিবীর বিনাশী গান চলছে কোলাহলে;
চলছে সবে অপরকে আজ কথার মাঝে দ'লে।
চাননা ধাতা আমার দ্বারা সবি,
তাই আমারে মূক করেছে গড়ে দিতে কবি।
নিখিল বিশ্বে বোবা আছে সকল বিরাট কিছু,
আছি ধাতার পিছু।
মূক বলে আর লাগেনা যে আমার কোন দুখ;
এতেই আমার সুখ।
একি সুতোয় বেঁধে দিলো বিশ্ব কারিগর;
এরচে' বেশি কি আছে আর আমার জীবনপর।
মূক হলেও লিখছি আমি নিজের কাব্য আজ;
সেথায় শুধুই ধাতা করে রাজ।
সৃজন মাঝে যারা ডাকে কথার ছলে ভুখ;
ভুল বেশি হয় তাদের জানি চাইনা এ অসুখ।
তাই যে আমি ভাবি;
আমার সনে ধাতা আছেন হইনা বেহিসাবি।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।