বিভেদ পতন
- হাসিব মহিউদ্দিন ১৫-০৫-২০২৪

ভুলছি তোমায় থেকে থেকে পৃথ্বী বুকে,
ভালোবাসি পৃথ্বী সুখে;
যার মায়াজাল ভেদন করেছি কত;
দেখেছি যে তার রূপের বাহার শত।
মাখিয়েছে মোহ রোজ;
করিনি আবার তোমার তেমন খোঁজ,
আলোক আঁধার সন্নিবেশের স্রোতে,
হেঁটেছি সকল পথে।
তোমার কৃপার সাগর লহর দেখে,
সলিল সকল মেখে,
ঢেউগুলো সব চেখে;
বুঝেছি সকল নিজের জন্য নহে,
আমার মতন এই জগতের সবার নিকট বহে।
কি বহে তা বলি;
মন যে উঠে উছলি,
চাঁদের মতন; তারার মতন উঠতে যে চেয়ে জ্বলি।
তোমার আমার বিভেদ সূচনা তাই;
যে পথ দেখালে আমার দু'চোখ নেয়নি সেথায় ঠাঁই।
চলেছি আপন মনের বচন শুনে;
চলেছি কতনা নিরেট আঁধার বুনে,
পেলামনা তাই বিবশ এ ফাল্গুনে
ফুলগুলো সব ঝরে গেছে দেখি ফাগুন আসার আগে;
আমার নিজের বাগে।
চাইনি আমার নিজের বিভেদ তোমার সহিত জুড়ে;
ক্ষুদ্র মানুষ উড়াই ফানুস চলছি জগত খুঁড়ে।
অথচ তোমার কৃপার আধার বুঝিনি নিজের বেগে;
চলেছি কেবল ত্যাগে।
এখান হতেই তোমার, আমার শুরু;
বিভেদ হয়েছে জগতের মাঝে আমার প্রাণের গুরু।
তোমার আলোক মিটে যে যায়না আমার ভুলের তরে;
আলোক এসেছে ভরে।
তবু দ্যোতনা শুনেছি আমার কানে;
তোমার সকল গানে;
তাই আজ বুঝি তোমার সহিত বিভেদ হয়না মেনে;
মেনে চলি সবি জেনে।
যদি মুছে দিতে আমার প্রাণের আলো;
তবে জানি এই পৃথিবীর বুকে সবি হয়ে যেত কালো।
করিনি অহং সৃজন মাঝের ক্ষণিক আঁধার মেখে;
দেখছি যে আমি চেখে।
দেখি যে তোমার তুমি ছাড়া আর সবি,
এঁকেছি প্রাণের ছবি
তোমার আননে দিলে আজ প্রহেলিকা;
সেই ধাঁধা আর মিলাতে চেয়েছি মিলেনা প্রাণের শিখা।
সবার জন্য হওনা রুষ্ট জগত বুকের তরে;
আমি আছি খুব ডরে;
বোধোদয় জাগে আজ;
তাই আমি ফিরি তোমার আলোকে বিভেদ গড়েনি কাজ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।