=শ্বাশুরির বিদায় বেলা=
- কাজী ফাতেমা ছবি ২০-০৫-২০২৪

©কাজী ফাতেমা ছবি
ভিতরবাড়িতে হাহাকার জমা যেনো লক্ষ...
তাঁর রুমের সামনে দাঁড়ালেই কেঁপে উঠে বক্ষ,
বাঁধ মানে দু'চোখ
আরেকবার দেখার স্বাধ, মন উন্মুখ।

বিছানাখান তাঁর পড়ে আছে খালি
আহা জীবন তুই যেনো চোরাবালি!
সহসা পা পড়ে যায় ফাঁদে, আর ফেরা যায় না
জীবন মাঝি হাতে নিয়ে শক্ত, বৈঠা আর বায় না,
শ্বাসের উঠানামা
আহা জীবন সারেগামা....
সুর তুলে বুকে, বাজে বেঁচে থাকার ঝংকার
আযরাইল অদৃশ্য, কখন করে প্রাণ সংহার।

আমি আমরা বয়সীর চারপাশে আছি বসে
উনি বিড়বিড় করে জীবন অঙ্ক যান কষে,
কখনো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ,
রহম করো রহম করো ইয়া আল্লাহ্ ইয়া আল্লাহ্
কখনো সূরা ইয়াসিন,
তখনো বুকে উনার বাজে নিঃশ্বাসের বীন।

দোয়া দরুদ মুহুর্মুহু বেজে উঠে ঠোঁটে ঠোঁটে,
কখন জানি উনার মুখেও বোল যায় ফুটে,
কালেমা ঠোঁটে নিয়ে উনি বিছানায় সটান শুয়ে
ঈমাণের ভিত এতটা মজবুত, আল্লাহ রহিমুর রহমান
হে মাবুদ তোমার দয়া তোমার রহমত
আমাদের উপর বহমান।

এতটি প্রাণী তাঁর আপনজন, চারিদিক ঘিরে
শেষ বেলা তাঁর চোখ খুলে যায়,
বড় বড় চোখ আমাদের দেখেছিলো ফিরে ফিরে,
তাঁর হাত পা বুক ছুঁয়ে আছি আমরা, হয়রান ডেকে ডেকে
হুট করে থেমে যায় নিঃশ্বাস,
তিনি চিরতরে চলে গেলেন আমাদের রেখে।

পরিবারের মাথার ছাতা, দমকা হাওয়ায় গেলো উড়ে
উনাকে বলেছি আমরাও একই পথের যাত্রী
আসছি আম্মা....সে পথ নয় আর দূরে,
দুঃখী চোখে কেবল জল আর প্রার্থনা...
লাঘব করে দিয়ো তাঁর কষ্ট যন্ত্রণা
মাবুদ তুমি জান্নাত করো নসীব, ভালো রেখো তাঁকে
উনার অপরাধ করো মার্জনা,
আর তাঁর সন্তানদের শোক সইবার
ক্ষমতা দিয়ো তাদের হৃদয় বাঁকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৩

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।