অস্তিত্ব
- সায়েল আচার্য ১৬-০৫-২০২৪

আজ যা ছিল,
গত 'কালকে' প্রশ্ন করে তোমার কিসের অস্তিত্ব?
আবহমান পথে চলে যায় তোমার স্বাতন্ত্র
সৃষ্টির লীলা কী গভীর, কাল যা ছিল আজকে তা অতীত!
সময়ের হাত ধরে অতীতের মুহুর্তগুলিকে মনে হয় প্রতিত
সময় নামক বস্তুটা কী ভারী অদ্ভুত ।
ইতিহাসের পাতায় স্বাক্ষ হয়ে আছে এটা হতে সব প্রভূত
ন্যায়ের নীতি বড়ো জটিল, বর্তমান সময় পায়
অতীতের হাত ধরে বর্তমান, ভবিষ্যত আসে যায় ।
অস্তিত্ববিহীন অতীতে বাজেনা ন্যায়ের বাশি ,
সব কিছু করেও বর্তমান, ভবিষ্যত রয়ে যায় অতীতের পাশাপাশি ।

সৃষ্টির সময় থেকে শুরু করে অতীত পেয়েছে নানা অলংকার
কিন্তু বর্তমান সময়ের চাপে পরে এটি ভূলে গেছে তার সাকার ।
অস্তিত্ববিহীন অলংকার নিয়ে অতীত পরে রয়েছে জুবুথুবু
আলোকসন্ধানী বর্তমানে পরে বিভীষিকাময় অতীত হয়ে গেছে কাবু ।
বড়ো বড়ো যেসব প্রাণীর অতীতে ছিল ছুটন্ত
অস্তিত এর হাত ধরে বর্তমান সময়ে প্রায় সবাই লুপ্ত ।
অভিব্যক্তির হাত ধরে অতীত পেয়েছে বর্তমান সময়ের রূপ
নির্ঝর বৃষ্টির মতো অতীত কাদে, কোথায় চলে গেল তার ভুত ।
চুপ!চুপ!চুপ! অতীত ফিরে এসেছে, এখন সবাই ব্যস্ত
বর্তমান অস্তিত্বের হাতে পরে অতীত হয়না প্রস্ফুট ।

বর্তমান সময়ে কী হবে, বা ভবিষ্যতে কী ঘটবে
বলতে বলতে পারে না কেউ ।
বিরোধের আভাস কানে উকি দেয় অস্তিত্বহীন অতীতকে নেউ
অন্তহীন যাত্রার শেষ পর্যায়ে যখন পৌছে গেছে অতীত ।
উঠে গেছে বর্তমানের সূর্য , ভূলে গেছে নিভৃত
অস্তিত্বহীন অন্তরালে অতীত পরে রয়েছে একাকী ।
বর্তমান আর ভবিষ্যতের দোলায় দোল খাচ্ছে অতীত যেন রূপহীন পাল্কী ;
বর্তমানের কাছে একটা প্রশ্ন, কেন নেই অতীতের অস্তিত্ব?
অনেক সুন্দর সময় উপহার দিয়েও কেন মনে নেই তার মুহুর্ত
জীবনের একটাই নীতি,
অতীত,বর্তমান আর ভবিষ্যত
অস্তিত্বের সংগ্রামে অতীত লেমেছে, মুহুর্তগুলি যেন কাতর ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।