আমাদের ক্ষুদ্র নীড়
- সায়েল আচার্য ১৬-০৫-২০২৪

মাটির প্রলেপ লাগানো, ছোট টিনের মাচা দেওয়া,
ছিল আমাদের ক্ষুদ্র নীড়।
সুখ দুঃখে জড়ানো আমাদের এই জগতটা ছিল ঘননিবিড়।
আমাদের সংসার জগতের শুরুর পর্যায়ে,
মোদের হাতে তৈরী করা এটি মেটেরঙিন।
আমাদের ছোট নীড় যেন হয়ে দারিয়েছে ভালোবাসার প্রতীক।
দিন আসে আর চলে যায় ক্ষনিকের ঝটকায়,
অভাবের মধ্যেও স্বপ্নর নীড় মোদের স্বর্গবোধ করায়।
চা-চিনি-রুটি এগুলি ছিল মোদের নিত্যদিনের আহার,
দুমুঠো পান্তাভাত পেলেই হয়ে যেত প্রতিদিনকার জোগাড়।
সবুজে ঘেরা মোদের নীড়, বনজঙ্গল ছিল চারিপাশি,
কোকিলের কুহুকুহু রব, লালঝুটি মোরগের ডাকে;
মোদের নিদ্রা ভঙ্গ হত সকালবেলাটি।

কৃষক ভাইদের সাথে কাটানো মুহুর্তে দিনটা হয়ে উঠত জমজমাটি,
ক্ষেতে দিনদুপুর পরিশ্রম করার পর,
বাড়িতে ফেরার মজাটা ছিল আলাদাটি।
অনন্য সাধারন অনুভূতি নিয়ে দিনটা হয়ে ওঠত জ্বলজ্বল,
রাখাল বালকের গান বাড়ি ফেরার পথে দিত,
এক অজানা কোলাহল।
জামরুল-কাঠাল-আম-লিচু দ্বারা সাজানো মোদের বসতবাড়ি,
কালবৈশাখির ঝড়ের দাপটে এগুলির ডালার আওয়াজ,
যেন লাগত তরবারি।
আমাদের নীড়ের পিছনে ছিল একটা পুরনো পুকুর,
কস্মিনকালেও পুকুরটাতে কেও যেতনা,
এর কাহিনিটা বড় অদ্ভুত।
বৈশাখ-জৈষ্ঠ-আষাঢ়-শ্রাবণ বারোমাসে লেগে থাকত,
উৎসবের মেলা।
শরতকালে প্রকৃতির চমক সৃষ্টি করত যেন নতুনরকম খেলা।

আমাদের গ্রামটি ছিল বেশ ছোট, অনাবিল সৌন্দর্যে ঘেরা,
গ্রামের শেষ সীমান্তে ছিল মোদের নীড়,
সব আকর্ষণে মোড়া।
আমাদের নীড়টি ছিল বেজায় ছোট,
তবুও সোহাগের মুলস্থল।
আমাদের নীড়ের পাশে ছিল প্রাচীন বটবৃক্ষ,
পথিক্দের যেন আবাসস্থল।
আমাদের নীড় ছাড়া এই গ্রামটি লাগে যেন বড্য ফাকা,
মোদের নীড়ের সাথে যেন গ্রামটির নাড়ির সম্পর্ক
আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে যেটা।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।