মমি
- শামীম এএ কবীর - পৃথিবীর বিশ্রী সব কবিতা ২০-০৫-২০২৪

হাজার বছর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে
ঘুট ঘুটে অমাবশ্যায়, অন্ধের মতো
প্রাচীন কোনো কবরে
মমি হয়ে পড়ে থাকা
বিরল বৃক্ষের বীজ,
যখন নিদ্রা ভেঙ্গে জেগে ওঠে
রহস্যময় স্থাপত্যের মতো
রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে
অদৃশ্য পিরামিড।

যেনো মমি, মিশর, অ্যাজটেক, মায়া,
খুফু কিংবা র‌্যামেসিস
দেহের স্তরে স্তরে সংরক্ষক আয়ন,
সুগন্ধি রসায়ন
কত কাল পড়ে থাকে
আলোর অন্ধকারে
সাথে জীবনের মহারণ ।

পেরেক ঠুকে ঠুকে শুনশান নিস্তব্ধ
চাপালিশ কাঠের কফিন,বাক্স
মোম পালিশ পান্ডু লিপি যেনো
চা পাতার স্তরে স্তরে
কাগজ পাতার প্রাগৈতিহাসিক মৃত দেহ
যেনো মানুষের লাশ,
একটির ওপর আর একটি ।

কুকুরের মতো গন্ধ শুকে শুকে
সন্তপর্ণ প্রত্নতাত্বিক খননকার্য
অনাবিস্কৃত শহরের স্থাপত্য
ধীরে ধীরে উন্মেচিত
চোখ ধাঁধানো কারুকর্ম
অথবা চাপা পড়া মাটি থেকে
অনণ্য আবিস্কার
কবেকার সেই রহস্যময় অরণ্য।

ক্রমে ক্রমে মমিকৃত বীজ,
তার হৃদয়ে প্রেথিত হাজার বছরের জীবন নিয়ে
জন্ম লাভ করে, বেড়ে ওঠে, বিকশিত হয়
উদ্ভাসিত হয় নতুন আলোয়।

অবাক হয়ে দ্যাখো তখন
অজানা বৃক্ষের রহস্যময় সৌন্ধর্য, আর
প্রশ্ন তোলো কি হতে পারে বৃক্ষের পরিচয়?
অথচ অনাদি কালের আাঁধারে-

আর ভয়ে ভয়ে চাপালিশ কাঠের কফিন,
একটি একটি করে পেরেক উন্মুক্ত হলেই
উকি মারে, তাকিয়ে থাকে সেই প্রাচীন লাশ,
আসলে সে লাশ নয়, মোম পালিশ পান্ডুলিপি,
কাগজের মৃত দেহ -
প্রতিটি পাতায় যার উদ্ভাস, আলোর ঘ্রাণ
অথচ লেখক মরেগেছে কবে--

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।