অদৃষ্টের ঠিকানা
- বেঞ্জিন বেঞ্জয়েট ২৯-০৩-২০২৪

উঠোনের কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে মৃত করতোয়া ,
অভাগিনী হয়ে সারা জীবন সে চেয়ে গেল দোয়া ।
কারো পিয়াসই সে মেটাতে পারেনি অভাবী বলে ,
সবার পিয়াসই মেটাবে সে অভাব তার দূর হলে ।
কোনদিন তার সে অভাব আর হল না পূরণ হায় ,
কেন হয়নি জানে না সে, কপালেতে চাপায় দায় ।


শুধু নয় করতোয়া বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিটি জন ,
পাওয়া না হলে অকপটে বলেছে কপালের লিখন ।
কপালের লিখন আর অদৃষ্টের দোহাই দিয়ে দিয়ে ,
করেনি প্রতিবাদ নীরবে থেকেছে পোড়া ক্ষত নিয়ে ।
কেউই ফিরে দেখেনি পেছনে কত ছিল কারণ ...
মানুষের সৃষ্ট অনল প্রভুর কাছে চেয়েছে নিবারণ ।

ঘরের জন চোর হলে সে ঘরে থাকেনা স্বচ্ছলতা ,
দুনিয়া মেড়ে সব আনলেও সে ঘর রয় অস্বচ্ছতা ।
সে ঘর থাকে অভাবে জর্জরিত আঁধার সনে বন্দি ,
ক্রমে ক্রমে তা বিষাদের সনে নীরবে করে সন্ধি ।
বিষাদে ক্রমেই লুটে দেয় নিষাদ যা ছিল সুখময় ,
লুটে গেলে নিষাদ টুটে যায় সব ছন্দের পরিচয় ।

ছন্দহীন মানে দ্বন্দ্বেমাখা জীবনের প্রচ্ছদ দুর্দামে ,
জীবন-পরিচয় হয় বিবর্ণে লেপা অনামিকা নামে ।
ক্রমে ক্রমে মিশে যায় আত্মবল আপন উদ্দীপনা ,
অজান্তে হয়ে যায় প্রকৃতির সনে ভাগ্যের স্থাপনা ।
আপনার বলতে রাখেনা কিছুই আপন চেতনায় ,
সব তার পাঠিয়ে দেয় অদৃষ্টের সে নীল ঠিকানায় ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।