নিষিদ্ধ কবিতা অথবা রক্তাক্ত শরীর
- আশরাফুন নাহার ১৯-০৪-২০২৪

যুবতী তোমার যৌবন দাও,এখন একটা কবিতা হবে,
ঐ কবিতা আস্তে আস্তে সুরে দাঁড়াবে,গান হবে,
ঐ গানের প্রথমে তোমার মডেল মূর্তি গড়া হবে,
তোমার গোলাপের ভাঁজগুলোকে খুলে দাও,বাতাসে খানিক তরঙ্গ পাবে,
আর তখন আমার কবিতাটা একটু সূর্যমুখী হেলে,
যুবতী হয়েছ দেড়যুগ ঠেলে ,
এখন তুমি ঢেলে দাও,মেলে দাও,
একটু ছুঁয়ে দেখি,
আমার রক্তজমাট হল কিনা,
কবিতাটা যখন তোমার মাংস খাবে তুমি একটুও নড়ো না,
তুমি তখনও ভেব তুমি যুবতী,অতি নরম তুলোয় মোড়ানো,
তোমার হঠাৎ ফুলে ওঠা স্বপ্নটা আমি ধার নিলাম,
কবিতাটার হৃদপিন্ড করে ফেরত দিব,
যুবতী,তোমার যৌবনকে রূপান্তর করি কবিতায়,
কেটে ছেটে বেটে নিই এক এক করে তোমার শরীর থেকে,
এক প্রেমের কবিতা হবে,
কালজয়ী গান হবে,
শুধু তুমি রবে না, তোমার যৌবন কে নিলাম ছন্দ করে,
প্রতিটা পঙতিতে তোমার ঠোঁটের লাল লিপস্টিক লেপ্টে থাকবে,
থাকবে ললাটের চন্দ্রগ্রহন, আর উঁচুনিচু বন্ধুর পথের বাঁক,
তুমি তৈরী হবে প্রণয়ের তারা হতে,
এক রাত্তির ফুলের সাথে বাসী হবে তোমার যৌবনের স্বাদ,
তুমি তখন কবিতা হবে,
একের পর এক ছায়া যুবতী বেশে এসে অপরিচিতা তোমায় বরণ করে নিবে,
তুমি এক রাতের যুবতী,কবিতায় থাকবে কবিতে নও।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 2টি মন্তব্য এসেছে।

kaisarparveg_mon
০৯-০৬-২০১৮ ১৯:৩৯ মিঃ

এটা কি ক্ষোভ...?
তবে ভালোই লিখেছেন...

saif
১১-০১-২০১৬ ০৯:১৪ মিঃ

প্রতিটা পঙতিতে তোমার ঠোঁটের
লাল লিপস্টিক লেপ্টে থাকবে,
থাকবে ললাটের চন্দ্রগ্রহন, আর উঁচুনিচু
বন্ধুর পথের বাঁক,


বাহ্! চমৎকার!