স্নিগ্ধ ইশারার দিকে
- আজাদ বঙ্গবাসী ২৫-০৪-২০২৪
ডুবরি, উদ্ধার করো এ স্বপ্নাহত পিয়াসের পেয়ালা
মুছে ফেল গরম জলে ভেজা ওই শরীর
আর একটু ব্যাথা গড়ালেই যে শুন্যের শেষে টুকুও
ভরে যাবে বিষে ।
এবার রঙের উৎসব ছেড়ে নদীর মুখ থেকে সরাতে চাই
অগ্নি খাদ্যের চির স্বাদ ।
এই নাও নাম সর্বস্ব, এই নাও যৌবনের উন্মাদ হাওয়া,
আমাকে স্নাত করো, গুহার গহীনে
ঢুকে পরা আলোকিত গানের মত করে।
পেয়ালায় যতটুকু শুন্যতা আছে বাকী
ওই টুকুতেই পুরতে চাই সুখের মন্ত্র
বেঁচে থাকার বাউল বাসনা।
বায়ু সমুদ্রের বৈচিত্র রূপ থেকে সবটুকু চাই না
মৃত্যুর মত ঘোমগুচ্ছের রঙ ছিড়ে
আঁধ ফালি চাঁদের মত ফিরতে চাই
স্নিগ্ধ ইশারার দিকে।
প্রেমিক বাড়াও ওই বাহু, সবাক খাঁচার
আঁধারে বিধে আছে ব্যাথা সূচ
আর যে কত ভুল সুখের মুকনামিত ফুল!
পৃথিবী কেনার আশায় যে দারুণ নসস্কার
ফিরে গেছে আদি পুরুষের করতল থেকে
মুদ্রা খরচের ভয়ে!
অথচ সেই কালের ঘুনপোকা মিশিয়ে দিয়েছে
গরিবের আহা মরি নিশ্বাসের ধনী
নতুন করে আবার দুর্বা ক্ষেতের মালিকানা
বলপেনের মুখ বেয়ে অন্যের হাসিতে
খোঁপায় তুলেছে ফুল।
তাই তো আজ পেয়ালা উল্টে গেলেই দেখি,
অগ্নি স্নানেই ডুবে যাচ্ছে মাস্তুল।
হে ক্ষমার্হ, এ অবয়বে বৃষ্টিগুচ্ছ ধরো,
একবার ডাক দাও, বলো, এই মানুষ!
এই শেষ করুনাটুকু - তোর জন্য!
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।