প্রণয়ের পয়গম
- আজাদ বঙ্গবাসী ২৩-০৪-২০২৪

শূন্যের কিঞ্চিত নিচে সফেদ ডানায় প্রণয়ের পয়গম

হাত বাড়াও পিপাসিতা, এ রাত তো হুলস্থূলের বিজ্ঞাপন নয়! পার্লারে আঁটা চাকচিক্যও নয়! হুটের

ভেতর বুতামান্ধের গ্রীষ্মতাও নয়! নিরেট পান্তা ভাতের

সড়াত সড়াত শব্দের প্রস্তাব। নগর নাগরের বাইরে

মাছদের কোলের কাছে, ফড়িং দিনের মগ্নতায় যেখানে

গোধূলিরা শরীরে বুনে জোছনার জল সংহার।

তারই এক সবুজ রান্না বান্নায় চোখ ভোলাতে, মাদকের শিকল কেটে, লালদ্বীপের উন্মাদনা ছেড়ে

একটা সাথী হারা পাখির বিরহী ডাকের খুব কাছে

স্রোতসী নদীর নিরব গানে গানে, চলো! যাবে যদি!

যেখানে শিশিরের বিছানায় ফুলেরাও বিছায় গতর

মাটি আঁকে স্বর্গ সৌরভ বিচিত্র ফসলে, তারই কোলে

একটি ছোট্ট গেহ।

যে আঙিনায় সোনা রোদ লাজুক যৈবতীর মত প্রেমিকের চোখে

মরিয়া হয় - শজনে পাতার ফাঁকে,

সেই শারীরিক সংসার ভালোবেসে, চলো যাই! নির্ভাজ সুখের দহনে।



এইসব মেঘ ছুঁই টুগেদার ছেড়ে, দূরগামী বাতাসের কাছে

মানুষের ভেতর মানুষ যেখানে নির্ভেদ গাইতে পারে

আত্মভোলা গান।

নীল বাণ্ডিলের বুকে পা চিহ্ন এঁকে, না ফেরার একলা

সাদা সাম্পানে ভেসে ভেসে

সেই উনুন শিল্পের কাছে যাবে যদি, হাত বাড়াও হে

অতৃপ্ত জীবন!

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।