সায়েন্স ফিকশন কবি মাসুদ খান
- আজাদ বঙ্গবাসী - কবি ও কবিতার কথা ২৯-০৩-২০২৪

আশির দশকের অন্যতম কবি মাসুদ খানের সায়েন্স ফিকশন পাঠকে দ্রুতই টেনে নিয়ে যায় কল্পনার মহাকর্ষণে। রঙের বিচিত্র্যতায়। কবি মাসুদ খানের জন্ম ২৯ মে ১৯৫৯,জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলালে। পৈতৃক নিবাস সিরাজগঞ্জ। কবিতার পরতে পরতে বিজ্ঞানের স্পর্শ সুপরিদৃষ্ট। নিম্ন পঙতিমালা তারই দৃষ্টান্তবহন করে - 'রাত গভীর হলে আমাদের এই প্রচলিত ভূপৃষ্ঠ থেকে ঘুমন্ত কুড়িগ্রাম ধীরে ধীরে আলগা হয়ে যায়। অগ্রাহ্য করে সকল মাধ্যাকর্ষণ। তারপর তার ছোট রাজ্যপাট নিয়ে উড়ে উড়ে চলে যায় দূর শূন্যলোকে।' - (কুড়িগ্রাম) জীবনানন্দ দাশের পরেই যেনো কবি মাসিদ খান তার কবিতায় প্রকৃতি প্রেমে বিভোরতা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন- 'স্রোতে শুধু ভেসে চলো তুমি ওগো শৈবালিনী, শৈবালিকা, জলজা আমার তুমি, তুমি ধর্মে মৎস্য, জাতিতে শৈবা' -(শৈবালিনী) জীবনানন্দ পুরষ্কার প্রাপ্ত কবি মাসুদ খানের কবিতায় যেনো জীবনদাশের কবিতারই দেহ অতিরিক্ত জ্বরের বহিব্যঞ্জনায় ব্যপ্ত। মহাভ্রমাণ্ড, ফুলফোটার দৃশ্য, মানব মানবীর প্রেম, বিরহ ব্যঞ্জনা, তার অন্যতম অনুসঙ্গ। এই মৌলিক কবির উল্লেখযোগ্য ৬টি গ্রন্থ :পাখিতীর্থদিনে (১৯৯৩) নদীকূলে করি বাস (২০০১) সরাইখানা ও হারানো মানুষ (২০০৬) আঁধারতমা আলোকরূপে তোমায় আমি জানি (২০১১) এই ধীর কমলাপ্রবণ সন্ধ্যায় (২০১৪) দেহ- অতিরিক্ত জ্বর (২০১৫)। যা পাঠকের কল্পরঙকে সহজেই নিয়ে যায় নতুনত্বের পরিভ্রমণে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।