শহরমুখী
- হোসাইন মুহম্মদ কবির ২৬-০৪-২০২৪

আপন স্বজন ছেড়ে,হচ্ছি আমি শহরমুখী
কিছু অর্থের প্রয়োজনে,
মা কিছুতেই বিদায় দিতে চাইছে না
মায়ের বুকফাটা চিৎকারে নিস্তব্ধ প্রকৃতি
পিছুপিছু এসে, ডাক দিয়েও
না দেয়ার অভিনয়
নীরবে নয়নজলে ভিজে শাড়ীর আচল।
তবু হতে হচ্ছে শহরমুখী
সহধর্মিণীর নির্বাক দৃষ্টিতে উঠেছে ফুটে
কতকিছুই না বলার ছিলো
কিছুই যেন বলা হলনা
সবই অপূর্ণ রয়েগেলো।
আবার সেই অপেক্ষা পূর্ণ মিলনের
নিশিরাত জেগে থাকা।
যেতে ইচ্ছে করছে না
ঐ দূর শহরে,কিন্তু কিছু প্রয়োজন যেতে বাধ্যকরছে,
আমায় যেতেই হবে
ফিরে আসার প্রতিক্ষায় থেকো প্রিয়তমা।
বাবা হাতের লাঠি রেখে, কাঁপতে কাঁপতে বলে উঠলো নিজের খেয়াল রাখিস বাবা
কথাটা বলতে বতলে চশমার ফাঁকদিয়ে
ঝড়ে পরছিলো নোনাজল,
চারিপাশে কুরুণ সুরবাজে, বিরহের মেঘ জমেছিলো আকাশে।
আর বাড়ীর পোষাকুকুরটা
সেও যেন কিছু বলতে চাইছে
খেউ খেউ করে,
মানুষ চাইলে কান্না লুকাতে পারে
কিন্তু কুকুর তা পারে না,
আমি ঠিক বুঝেছিলাম কান্নার আওয়াজ।
কেউ মন থেকে হাসি মুখে বিদায় দিতে চাইছে না,আমার কী মন চায়,বাবা মা প্রিয়তমা প্রিয় বন্ধু সজন এ গ্রাম ছেড়ে
শহরমুখী হতে।
হৃদয় টা ছিড়ে যাচ্ছিলো বিদায় নিতে
তবু কষ্ট লুকিয়েছি
বারবার ফিরে তাকিয়ে এঁকেছি মুখে মিথ্যে হাসি।
আর বলেছি ভালো থেকো
এবার না হয় আসি।

১৩/০৭/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।