চিৎকার কর
- সাইফ রুদাদ - অগ্নিকুণ্ড ১৯-০৪-২০২৪

চিৎকার কর মেয়ে; গগন বিদারী চিৎকার
চিৎকারে চিৎকারে দে ওদের ধিক্কার,
শত শিকলে বন্দি থাকার পরেও যারা তোরে,
সোনা রূপোয় আবার বন্দী করে।
তাদের জন্যে মেয়ে দে ধিক্কার।

যারা ঘরে কিংবা বাইরে তোরে
খুবলে খুবলে ছিঁড়ে।
যারা স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ভার্সিটি প্রাঙ্গণে
তোর অঙ্গে বাড়ায় হাত।
মেয়ে তাঁদের বাঁচাতে করনা রাজপথে চিৎকার
দে না মেয়ে তুই ওই মুখে ধিক্কার।

তাঁদের জন্যে মেয়ে বেড়িয়ে আয় তুই রাস্তায়
তোর তুই এই দুনিয়ায়। আর কেউ নাই।

ছেলে তোরে ডাকতে পারে মা মা বলে
আসলে তোরে। ছেলে । মা জানে না।
ছেলের কাছে মা মানে অন্য কিছু
যা তুই আমি কেউ বুঝি না।

তুই যখন গোসল করার তরে মেয়ে যাস বাথরুমে
ছেলে তোরে তখন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে।

মা ছেলের অবস্থা যদি হয় এই
তবে মেয়ে
কিসের কোলে চড়া পিসি মাসি
আর কোলের ছোট্ট বোন।

তুই মেয়ে চুপ করে থাকবি না
কোন পুরুষকে আর তুই বিশ্বাস করবি না।

মেয়ে এখনো তুই বিচারের আশায়
পুরুষ শাসিত আদালতে
আমার বড্ড হাসি পায়।

ওরা করবে বিচার হয়ত তার
দিবে জেল জরিমানা
কিন্তু মেয়ে আগে আবার সর্বনাশ করবে তোর
বলবে বেশ্যা বারাঙ্গনা।

মেয়ে সময় নাই হাতে
ঘরে বসে পারবি না তুই
ইনসেপ্টে ভোগা পুরুষ শাসিত
সমাজে বাঁচতে।

চিৎকার কর মেয়ে বধির বানানো চিৎকার
যারা বারে বারে বাধ্য করেছে
তোরে বাড়াতে ভিক্ষার হাত
ওদের বিরুদ্ধে মেয়ে দে ধিক্কার চিৎকার।

২১ জুলাই ২০১৬ ইং
রাজগঞ্চ, শরীয়তপুর।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।