বুড়ো ঈশ্বরের সাথে কিছুক্ষণ
- দেবজ্যোতিকাজল ২৩-০৪-২০২৪

তিরোভূত প্রচ্ছায়ায় একটা চাঁদ উঠল উঠল পাতকী জ্যোস্না করকর করছে হনহন করছে বিদ্বান বিদ্বেষ্টা কখনও মুখ তুলে , আলো দেখে আলোতে চোখ বুজে চোখ বুজে গর্ব করে মৎস বর্ষের ঘাঁ-এর রোগ আমরাই প্রথম ধরেছি ।

ভাই বিধাতা তখন জংগলে ঘুড়ে বিধিবৎ আঙ্গুলে খোঁচা দেয় ডাক্তার কাকু কোন পরাগে যেনো মিশাবে নশ্বর ভাবে নশ্বর এখনও কাঁদে

ছেলে হয়ে প্রবাল পাথরের বালা পড়ে ঘুড়ে পাগল পাগল ব'লে কাকে যেন ধাওয়া দেয় তখন চিৎকার করে ওর পিছু পিছু যায় বুড়ো নিলম্বিত ঈশ্বরটা • ঈশ্বরটা আগের চাইতে এখন বেশী কথা বলে । বিকৃত হাসি দেয় হাসি থামে না ফুলের গন্ধ থেমে যায় ভোর হতে না হতে ঠোঁট চিরে রক্ত ঝড়ে ।

বুড়ো ঈশ্বর এখন শুধুই দেখে । কি দেখে ? পাল্টা ধাওয়ার কঙ্কাল নর্তকির নাকের নলক ঝুলমুলে শাড়ীর আঁচল টিমটিমে বাতির দিকে কখনও কখনও চোখ ফিরায় । লাল কাগজে আলো মোড়ান বলে বমি করে গলা ভরে নিশ্বাসের চাপড়ে আওয়াজ তুলে নষ্টমতী , ছাড়া হেই-হেই ছেই-ছেই ভাল্লাগে না তঞ্চক ।

তঞ্চক উঠে পরে লেগেছে রসে ফেলেছে ছিলিপি আজ কাল হাত ছাপাই-ও শুরু করেছে কালো মেঘের সংগে পিরিত পিরিত খেলছে অচিরেই কামনীয় জখম হবে দরদর ক'রে উরু বয়ে রক্ত ঝড়বে মাটিতে রক্ত পড়বে গন্ধ বের হবে অধোপ গোশালার মত বুড়ো ঈশ্বরটা তখন নিশ্বাস নিতে পারবে না ।


বড় তকলিফ হবে চুলুঢুলু ভেঙ্গে যাবে একটা একটা করেও যদি ঘন্টা গুণি । অসংখ্য শৃগালের লকলকে জ্বিবা গিরিদরী গিলন অর্তকে ভন্ভন্ করবে উৎপীড়নের উৎপথ কুকুর নাসিকায় উত্তুঙ্গ গায়েবী শশ্মান হবে সব হয়ে গ্যাছে সব খানে উদ্ভূত সমপ্রীতি নেই , প্রতীভা নেই সমঝোতা নেই , উত্তীর্ণ নেই আছে শুধু পাতকী যা দেখে বুড়ো বুড়ি সবাই ভয় পাই দৃশ্যে যদি দেহ অংশন থাকে যদি আগুন জ্বলে জোড়া বুকের মাঝ খানে তিরতির করে যদি সুমুদ্র এ্যামিবিয়া লোম চাটে চাটে যোনির অঙ্কুর ছিঁড়তে হবে তখন বয়বুদ্ধির কাকচাতুরী ফেল মেরে যেতে হবে হেডমাষ্টারের অংক খাতায় । জ্বিবা কাটতে হবে বাচালতার জন্য প্রসোব কাটতে হবে অঙ্গনার অতনু ভোগে । বোঝা যাবে না অণ্ডজ । • অতএব- বুড়ো ঈশ্বরটা এখন চোখেও দেখছে না সাপের গায়ের মত শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে ঝলছে উঠছে থাকথাক বেদনাগুলো ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে টিউলিপ ডিম্বাশয়ে ।

তজদিগ হচ্ছে নরাঙ্গণাদের নিয়ে- নরাঙ্গণা ডাকে , কলিচুনে জ্বিবা ঝলসায় হায় ভদ্র , হায় শুদ্ধ , হায় চলাচল হাত ধূয়ে নরাঙ্গণা দুধ যদি না পাস ঝালের প্রলেব দিয়ে ধূয়ে দে কত ক্ষুধাময়-ধর্য্য কত সুখাতুর অশান্তি কত বিবৃত ।

দেরে নরাঙ্গণা নাকের দুষ্ট ব্রণ চিরে খোসে দে পচাভাতের গুটি হাতে দে বিব্রত থিরথির বিপ্রলব্ধ একখানা অহংকার আর নয় , হয়েছে সব হয়েছে যা হয়-নি ভোরে পিওন এসে সব জানিয়ে দিয়েছে ।

এখন তো আমি চঞ্চল দেনা নরাঙ্গণ একখখনা অস্ত্র আমার তন্দ্রাকে হৃদয়হীনা করে দেই সত্যি বলছি-মারবার সময় ইষ্টনাম কানে দিয়েই মারব ওকে একবার সুযোগ দিব যাতে বলতে পারে বুড়ো ঈশ্বরটার নাম ওকে একবার সুযোগ দিব যা-তে জন্তুর বিবরে পালাতে পারে হ্যাঁ হ্যাঁ আমি সত্যি বলছি শাসনের ছলে একটুও হাসব না শুধুই কাঁদব শুধুই চিৎকার করে বলব লিপ্সা নেই , বে-এক্তিয়ার নেই বিগর্হনা নেই নরাঙ্গণা শুধু তুমি ছাড়া শুধু ,তুমি ছাড়া ।কেউ নেই…… :

*১৯৮৮ সালে এই কবিতাটির জন্য কিশোর সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছি*

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।