মোহন সুরে
- সাইফ রুদাদ ২৪-০৪-২০২৪

পাতায় পাতায় ফুল ফুটেছে সুজন দলের গায়
শাখায় শাখায় ভোমর বসে পাখি আসে যায়,
মাঠে মাঠে সোনার ফসল পাখপাখিতে খায়
সন্ধ্যে হলে সারি সারি দলে তারা ধায়।

বকের সারি কাকের সারি বলবো কী আর তায়
সবাই মিলে বাঁশ বাগানে কিচিরমিচির গায়,
পাশেই আছে সিমুর বাড়ি একটু হেটে বাঁয়
সিমু হলো খুব রূপসী জানতো সকল গাঁয়।

সন্ধ্যে হলে সিমু তাদের পড়ার ঘরে যায়
পাখির ডাকে হয়না পড়া ঘরে থাকা দায়,
তাহার ওপর মোহন বাঁশির সুরে কে গান গায়
সিমুর মনে প্রশ্ন জাগে জানার কী উ পায়!

এমনি করে সময় কাটে মাসের পরে মাস
জমির চাচার ধারী মেয়ে পড়লো প্রেমের ফাঁস,
জানাশোনা খুব দূরে থাক শুনেনি সে কাস
কেমন করে পড়লো প্রেমে হায়রে সর্বনাশ।

জমির চাচার জমি আছে বিঘা শত দশ
বাপ দাদাদের আছে জানি পাড়া জুড়ে যশ।
ইচ্ছে চাচার সিমু হবে দেশের বড় বস
বাপ দাদাদের নামের ওপর দিবে আরও যশ।
জমির চাচা সরল মানুষ মনে নাই যে কস
ইচ্ছে চাচার মেয়ের বিয়ে দিবেন করে রস।

মেয়ের মনে অন্য ধারা দিবানিশি বাস
কবে যেনো ভেবে ভেবে হয়ে যাবে লাশ
কে বাজালো মোহন সুরে জীবন করলো নাশ
একটা নজর দেখবে তারে মনে বড় আশ।

মাঝের রাতে দরজা খুলে সিমু ছাড়লো ঘর
জন্মদাতা পিতামাতা হইলো বুঝি পর
বাঁশির সুরে কাঁপছে সিমু থরে থরে থর
কে বাজালে বিঁধলো সিমুর পরাণের ভে তর।

থামো কেনো ওগো মাণিক শোনাও মোরে আজ
শুনতে এলাম মোহন বাঁশি খেয়ে কুলের লাজ
বাঁশি নাকি প্রেমের রশ্মি কপালে তার ভাজ
মোহন সুরে হয়ে গেলো সিমুর প্রেমের কাজ।

থামো মাণিক থামো তুমি এবার হলো ভোর
পাড়া শুদ্ধ ডি ডি পড়বে খোলা থাকলে দ্বোর
নামটা বলে দাও আজ যাবার সময় হলো মোর
কালকে আসি শুনবো বাঁশি মোহন সুরে তোর।

ফজল চাচার সোনার দুলাল ভেবে হারায় কুল
কালো জলে ঝাপায় কেনো ধনীর ঘরের ফুল,
গরীব মানুষ আমি সাহেব জীবন ভরা ধূল
ধূলায় ভরা ঘরে আমার রাখবো কোথায় ফুল?

মাণিক বলে ডেকে গেলো মানছে না আর মন
হতে হবে যোগ্য পাত্র এই না করছি পণ,
লেখাপড়ায় কলেজ সেরা রূপে গুণে ধন
আমায় দেখে ভাঙে না যেনো ওই মেয়ের মন।


রাতে রাতে বাঁশির সুরে একে অন্যে মন
কথা বিহীন হয়ে গেছে দুজন দুজন শ্রবণ,
চুপি চুপি কেটে গেলো বছর সময় ক্ষণ
এমন করেই স্বপ্ন গুলো বুনতে থাকে মন।

সংক্ষিপ্ত।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।