কীর্তিনাশার পারে
- সাইফ রুদাদ - নারী ও প্রকৃতি ২৮-০৩-২০২৪
কীর্তিনাশা আজ বড় শান্ত নদী
তোমার বিরহে হে প্রেয়সী,
যখন তুমি ছিলে তখন তোমার কটিদেশের মত নাচত কীর্তিনাশা।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে মন নেচে উঠত উতাল প্রেমে।
কীর্তিনাশার ছলাৎছলাৎ শব্দ বেজে ওঠে আজও আমার হৃদয়ে।
ঠিক তোমার আলত ছোঁয়ার শিহরণের মত।
বাস্তবতার কঠিন পদাঘাতে তুমি হারালে জীবন হতে।
তোমায় হারানোর সাথে সাথে নদীও তার ঢেউ হারাল।
আসলে কীর্তিনাশা আমার হৃদয় ছিল।
তুমি ভূত প্রেত বড্ড ভয় করতে
এবং আমায় ভীষণ ভালবাসতে।
তোমার ভালবাসা ছিল গুপ্ত
যা কোনদিন সুপ্ত করনি।
কিন্তু সন্ধ্যে বেলা আমায় নদী পারে থাকতে নিষেধ করতে।
যদি কভু ভূতের হা হা হো হো শব্দে আমি ভয় পাই, তাই।
আমি আজও রোজ কীর্তিনাশার পারে আসি।
জান, যখন তুমি ছিলে তখন আমি ভূত ভয় পেতাম না,
আর এখন কাশবনের শো শো শব্দেও শিহরে উঠি।
তবু আসি কীর্তিনাশার পারে,
তোমার স্মৃতির পদচিহ্ন খুঁজে পেতে।
যদি কভু, বাতাসের সাথে ভেসে আসে
'কবি তোমায় ভালবাসি ' এই শব্দটা তাই।
জানি তরঙ্গের কোন তারের মিল বন্ধন নেই এখন তোমার আমার
তবু আসি, যদি পাই স্মৃতিমাখা কীর্তিনাশার পারে দু দণ্ড সুখ।
০৯ জানুয়ারি ২০১৭ খ্রী.
কীর্তিনাশার পার, রাজগঞ্জ বাজার, শরীয়তপুর।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।