ধন্যবাদ মা
- ফয়জুল মহী ২৯-০৩-২০২৪

(১১ম পর্ব)---------------ধন্যবাদ মা----------স্বাধীন এই বলয় তোর আর আমার জন্য এমনই কারন যাদের রক্ত মাংশে পেকে-ওঠা তারাই তো আমাদের জন্য ময়লার স্হান উপযুক্ত মনে করেছে।তারা মনে করে শিয়াল কুকুর খেয়ে ফেললেই তো শেষ আরেকটা মানব বাচ্চা জানোয়ারের মুখে ঝটিতি তুলে দেওয়া সহজ হবে।তাদের সুখের ঘাটতির কেন পরাজয় হবে।সাদা তোয়ালে শুভ্র স্বাধীন যেন সকালের তাপহীন চিক চিক অংশুমালী।খেকে খেকে স্বাধীনের ম্যা ম্যা যেন নদীর অধ্যাসহীন ঢেউ।আসমান দেখলাম কি স্বচ্ছ কোথাও কোন দৃষ্টির অস্পষ্টতা নেই,বাতাবরণ চলমান নেই কোন ঝোক খাটোনোর প্রভাব,আর নদীর ঢেউ সেই শুধু নিকষিত নয় যেমন মানব গুলির মুখ দেখে মন বুঝা দায়।নদীর ঢেউ একূল ভাঙ্গে ওই কূল গড়ে দিলেও মনুষ্য জাতী আমাদেরকে গড়ার কোন তাগিদ অনুভব করে না।কিন্তু কেন আমাদেরকে পৃথিবীর আলো বাতাসে নিয়ে আসা।পানির আসমানি রংয়ে নিজেকে ও স্বাধীনকে নিয়ে ভেসে যেতে ইচ্ছে করলো না এভাবে মরবো না মাকে যে করে হোক খুজে বাহির করবো এবং স্বাধীনকে মার কোলে তুলে দিব। ট্রাফিক দেখ কোথায় টেস্টার।শলোমান ভাই তুমি ওদিকে দেখো আমি এদিক দেখতেছি।দেখ সব বর্গি ভাল করে দেখ।এই টেস্টারকে দেখছিস।না শলু।আরে শালা কোথায় মারা গেছে পুরা স্টেশান খুজতে হবে মনে হয়।আবে টেস্টার তুই এখানে বসে আছিস আর আমারা পুরা স্টেশান খোজ করছি।চল বাসায় চল।এই কোথায় গিয়ে ছিলি তুই এখন কোথায় যাবি চল বাসায় চল।তুই চুপ কর ট্রাফিক,শোন সুখবর এর মা বাবা পাওয়া গিয়েছে অনেক বড় শিকার অনেক মাল পাওয়া যাবে বাচ্চা ফেরত দিলে।সত্যই মা বাপ পাওয়া গিয়েছে।তোর কি আমাকে বিশ্বাস হচ্ছে না,হবে হবে।আরে আমাকে এমন করে কেন দেখছিস আগে যা হয়েছে ভুলে যা টেস্টার।চল আমাদের সাথে চল এই ট্রাফিকের মাথার কসম এবার বিশ্বাস কর।দেয় স্বাধীনকে আমার কোলে দেয় আরে বাবা দেয় আমার কাছে।নেয় কিন্তু আমার সাথে চিট করবি না।নারে টেস্টার।রাজনৈতিক মিছিলটা যেতে দেয় তারপর আমরা যাইব না হয় স্বাধীন গলাবাজি সহ্য করতে পারবে না।শুন শলু ভাই কি বলতেছে মিছিলে সবার জন্য শিক্ষা, ভাত ও কাপড় নিশ্চিত করবে যেন সবাই তাকে ভোট দেয়।নেতাদের তো এমনি অনেক টাকা ও ক্ষমতা থাকে তাহলে এখন কেন এইসব নিশ্চিত করছে না ভোটে জিতলে করবে হাঃ হাঃ হাঃ আগে করলেই তো মানুষ খুশী মনে উপকারিকে ভোট দিত।আমাদের ভোটও নাই শিক্ষা,ভাত,কাপড়ও নাই।কেমন নেচে গেয়ে আনন্দ মনে মিছিল করছে আর আমরা একটা পরিচয়ের জন্য সংগ্রামরত।বাহ বিশ্ব চালক কেমন দুনিয়া।কিসের যেন ঘ্রাণানুসরণ লাগছে।আমার দিকে কেন দেখছো শলু ভাই,এই দেখ আমার প্যান্ট শুকনা।ওহ তোর মাকে,এই নেয় টেস্টার স্বাধীনকে সে পায়খানা করে দিয়েছে।আহ দিলো সব খারাপ করে।দাও আমার কাছে দাও আমি ঝাড়ন করবো।না পরি তোরা করতে হবে না আমিই করি।(চলবে)(১২ম পর্ব)-------------ধন্যবাদ মা---------- সবাই চল টাউন সার্ভিসের বাসে উঠে পড়ি আমি সব ওখানে চিনি।ঠিক আছে চল,স্বাধীন আমার কাছে থাক।ট্রাফিক তুই টেস্টারের সাথে বস আয় পরি তুই আর আমি পিছনের সিটে বসি,উহঃ উহঃ স্বাধীন তুই চলে যাবি আমাদের ছেড়ে।মায়ের একধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের .......আমার মা গো।আর সেই মাই আমাকে ফেলে যায় হাসপাতালে,ফেলে যায় নর্দমায়.ফেলে যায় ডাস্টবিনে,ফেলে যায় কাকের মিছিলের সামনে।বাস ছুটে চলে আপন গন্তবে।বাসের জানালার গ্লাস পুরা খোলা আকাশে সাদা সাদা মেঘ মামা।অনেক উপরে একা একা শুকুন উড়ে বেড়াচ্ছে।রাস্তায় গাড়ীর তেমন জ্যাম নাই।ইটের ভাটার কালো ধোয়া দেখার কেউ নাই,সুউচ্চ দুইটা দালান খুব দ্রুতময় কাজ শেষ হবে।রড় হাতে শ্রমিকদের মুখ দেখে মন বুঝা যায় না।চল চল আমরা এসে গেছি। "আইলো দারুন ফাগুনরে"ওয়াও কত বড় বাড়ী দেখ টেস্টার।এই দাড়া এই দাড়া,কি চাই তোদের।আমরা মতিন সাবের সাথে দেখা করতে চাই।কেন?প্রহরী কাকা আমরা বেগারহি সাবে আসি নাই আমরা আসছি উনার বাচ্চা ফেরত দিতে ওই যে এক মাস আগে পার্ক হতে সাবের বাচ্চা চুরি হয়ে ছিল তা ফেরত দিতে।হুম,যা ওই কোনায় রুমে গিয়ে বস।হ্যালো স্যার তিন/ চারটা ছেলে এসেছে সাথে একটা বাচ্চা নিয়ে বলে ওটা নাকি আপনার বাচ্চা তাই ফেরত দিতে এসেছে।আমরা এক্ষুনি আসছি।কোথায় কোথায় কোথায় আমার বেবি।মুক্তা এমন করো না সবর কর দয়া করে। চারজন মোলভী মুচকি হাসি মুখে হন হন করে হেটে চলে যায়।বিরাট এক দালানে মতিন শেঠের বসবাস।কোথায় কোথায় আমার বেবি।এই নিন (সবাই হাসি মুখ)।এতো আমার বাচ্চা না(দপ করে টেস্টারের মুখ কালো হয়ে যায়)আমার বাচ্চাতো তিন মাস বয়সের আর এর বয়স দুই-এক সপ্তাহ হবে।আমার বাচ্চা কোথায়।শলোমান মুখের প্রচণ্ড রগড়ানি মুছে,টেস্টার ফ্যাল ফ্যাল তাকিয়ে থাকে।আমার বাচ্চা কোথায়,শেঠ আমার বাচ্চা।মুক্তা,মুক্তা দয়া করে শান্ত হও।শলোমান অবস্তা বেগতিক দেখে আমাকে সরে যেতে ইশারা করে।আমি আমার বাচ্চা চাই,আই ওয়ান্ট মাই চাইল্ড।এরা চুরি করছে আমার বেবি।শান্ত হও দয়া করে।কার বাচ্চা তুই নিয়ে আসছিস,প্রহরী।এই যাও যাও।অবাক লাগে আর তাকিয়ে দেখি এক মাকে।চল চল যা।এক্ষুনি যা।কবে হতে এই ধান্দা তোদের।এই এক মিনিট,আমি হাত জোড়ে মিনতি করছি তোমরা আমার বাচ্চা ফেরত দাও,এই এই তোমার পায়ে পড়ি তোমরা জানো আমার বাচ্চা কোথায় ফেরত দাও।আমি তার ছবি দিব তোমাদের,আমি অনেক টাকা দিব তোমাদের,আমার মাথা ঠুকি তোমার পায়ে আমার বাচ্চা ফেরত দাও।প্রহরী প্রহরী বাহির করে দাও এদের।শলোমান ধাক্কা মেরে ট্রাফিকও পরিকে নিয়ে দৌড় দেয়।আমি স্বাধীনকে বুকে নিয়ে দাড়িয়ে থাকি কারন মুক্তা ম্যাম আমার পা ধরে কান্না করছে এবং ফোটা ফোটা নয়ন জলে পা গোসল হয়ে যায়।বহি দরজা হতে শলোমান চেঁচান দেয় টেস্টার চলে আয়।আমি টেরহীন দাড়িয়ে শলোমান দৌড়ে এসে আমার শার্টের পিছনে কলার ছেপে ধরে টান দেয় নিয়ে যেতে কারন প্রহরী পুলিশকে ফোন করেছে।(চলবে)(১৩তম পর্ব)---------------ধন্যবাদ মা------------ হায় হাসান,হায় হোসেন বলে হাজার মানুষের তাজিয়া মিছিলটি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।আমরা প্রগাঢ় দৌড়ে এসে মিছিলের ভিতর কলিল হয়ে একাকার হলাম,কিন্তু মিছিলে হায় হায় শব্দের সাথে সাথে শরীর হতে তাজা রক্ত ঝরানো আমাকে আতুর করে দিল।মাথা,পিটে ধারালো চাকুর আঘাতে রক্ত জ্বরে পিচ ঢালা রাস্তায় লালে লাল,আহ কি ইসলাম প্রেম ভাবতেই গজাল হয়ে রক্ত এসে পড়ে স্বাধীনের মুখে ও শুভ্র তোয়ালে এমনি স্বাধীন দৃষ্টি নিমীলিত করে আর আমি দৃষ্টি আসমানে নিক্ষেপ করি যেখানে পরমশ্বরের বাস।নেত্র বুজে নোনাজল আমার বুকময়,স্বাধীনেরও তাই।আমার রক্ত আনূপ লাল অন্য লোকদেরও তাই তাহলে স্বাধীনেরও তো একই হওয়ার কথা।মানবের শরীরে লাল জল,নেত্রের সাদা জল সবই তো তোমার সৃষ্টি হে পরেমশ্বর,তুমিই মানবের ভিতর ধর্মের ভেদ সৃষ্টি করলেও বিচার কাজটা নিজ হাতেই রেখেছ।মানুষ তা জানার পরও কেন আমার সৃষ্টি,স্বাধীনের সৃষ্টি।কেন আবার এক ধর্মে এত শাখা উপশাখা।এই যে গাজা পান করে মাতাল হয়ে রক্ত ঝরানো বেধনিকা তোমার চঁরণে কি সপতে! মানুষ যদি এমন ধর্ম প্রিয় হয় তাহলে তো আমি আর স্বাধীন ডাস্টবিনেই পড়তে হতো না।ওই স্বাধীন তোর ধর্ম কিরে,তুই মুসলিম হলে শিয়া না সুন্নী।নাকি তুই সনাতন ধর্মের,তুই বড় হলে কোন দেশকে ভালবাসবি ভারত নাকি পাকিস্হানকে এই দুষ্ট বল না আরে তুই রাগ করে আমার মুখে চু চু করে দিলি হাঃ হাঃ হা।আতজবাজির কান ফাটা শব্দে স্বাধীন বিরক্ত হয়ে কান্না শুরু করে।শলোমান সবার আগে দৌড়ে পরি আর ট্রাফিক আমার পিছনে।টেস্টার বন্দরের দিকে আয়।ঠিক আছে শলোমান ভাই।ওহ পুরা গলা শুকায় গেছে,মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছি।অহ শলোমান ভাই।যখন হতে এশালা অলক্ষি আসছে তখন হতে সব দিকে খারাপ যাচ্ছে এক কাজ কর এরে শেঠের হাতে তুলে দেয় সেই এর খেলা খতম করবে দেয় বাচ্চা আমাকে দেয়।না,আমি তার মার কাছেই ফেরত দিব শুধু আর কারো কাছে না।আরে শালা এর মার কাছে গিয়ে কি বিপদে পড়ে ছিলাম তুই দেখিস নাই।তুই দেখিস নাই(কান্নারত টেস্টার) আজ তিন দন ওই মহিলার বাচ্চা হারিয়েছে কি অবস্তা তার পাগলপ্রায় তাহলে একবার স্বাধীনের মার কথা ভেবে দেখ শলোমান আর আমার মা।আজ দশ-বার বছরতো হয়ে গিয়েছে মা হতে দুর হয়েছি যে।এই টেস্টার তোর এসব নাটক আর চলবে না।কেন চলবে না আমি তোদের মত না,তোমরা মা-বাপ হতে পালিয়ে এসেছো আর আমাকে বাচ্চা চোর পৌরসভার ডাস্টবিনে ফেলে চলে গিয়েছে।তোমরা জানতে মা-বাপ কোথায়,আর আমি মা-বাপের চেহারা পর্যন্ত দেখি নাই,চোর পয়সার জন্য বাচ্চা চুরি করে এবং পুলিশ পয়সার জন্য চুপ থাকে চোরদের মন পয়সা না পেলে এদিক-সেদিক ফেলে চলে যায়।আমি যে কোন মূল্যে স্বাধীনকে তার মার হাতে ফেরত দিব।কিন্তু এত বড় শহরে কোথায় খোঁজ করবি তার মাকে।পারবো পরি,আমি ওই মহিলাকে দেখেছি যে স্বাধীনকে ডাস্টবিনে ফেলে চলে যায়।এই শহরের প্রতিটি রাস্তা,প্রতিটি অলিগলি,প্রতিটি বাসা খোঁজ করব ওই মহিলার জন্য।আর তাকে পেলে জানা যাবে স্বাধীনের মা কোথায়।তোমরা আমার সাথে থাকলে আসতে পারো আর না হয় জাহান্নামে যাও আমার কিছু আসে যায় না।"ওহ আকাশ ওহ বাতাস সাক্ষী থাক তোমরা,দুনিয়া কি আজব ঠিকানা"।কাক উড়ে সাগরের তীরে কা কা শব্দে।হরে হরে,কৃষ্ণ কৃষ্ণ,হরে রাম,হরে কৃষ্ণ হিন্দুদের প্রতিমা বিসর্জনের মন্ত্র যেন করুন সুর।অথচ একটুপর সাগর তলে ডুবে যাবে মাথানত করা মাটির দলাটি।স্বাধীন তুই মুসলিম না হিন্দু তা আমি জানি না তবে বিধাতার কসম তোকে তোর মায়ের হাতে অর্পণ করবোই।(চলবে)(১৪ম পর্ব)-------------ধন্যবাদ মা------- মায়ের একধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের .....এ ঋনের শোধ হবে না।এই গানের এখন আর মূল্য আাছে বলে মনে হয় না।মা নিজের শরীরে আমাকে ধারন করে দুধ কি পান করিয়েছে,স্বাধীন কি মায়ের দুধ পান করেছে না করে নাই তাহলে মায়ের ঋন! তবে মা যে জম্ন দিয়ে মর্তভূমিতে সঁচরণের সুযোগ করে দিয়েছেন তা কম নয় ধন্যাদ মা তোমাকে যে তুমি ভুমিষ্ঠ হওয়ার আগেই আমাকে হত্যা কর নাই।এটা কার বাচ্চা টেস্টার।আমার বাচ্চা ফাদার।তোমার বাচ্চা হাঃ হাঃ হাঃ।আমি পেয়েছি তাই আমার বাচ্চা।ফাদার এই দুধটা ঠিক আছে কিনা দেখুন। আমি তাকে তার মার সাথে মিলাবো এইটা আমার কসম ও স্বাধীনের সাথে ওয়াদা। অতি দুরে পরি ও ট্রাফিক আছে দাড়িয়ে। দেখুন ফাদার আমি স্কুলে এসে আপনার কথা মনযোগ দিয়ে শুনি তাই আর কোন প্রশ্ন করবেন না। তাইতো তুমি ঠিকভাবে স্কুলেই আসো না। দয়া কর বাবা আমি জানি আমি কি করতেছি। মাদার দয়া করে এই বাচ্চাকে নিয়ে স্নান করিয়ে দিন। ঠিক আছে ফাদার। আচ্ছা টেস্টার একটা কথার সত্য উত্তর দিবে।আমি কখনো আপনার সাথে মিথ্যা বলি না।এই দুধটার টাকা দিয়েছো।না,(এদিক সেদিক দেখতে থাকে) এখন টাকা নাই তাই টাকা দিনাই পরে দিবো দোকানদার তো আর দোকান বন্ধ করে চলে যাবে না ফাদার।দেখ চুরি করা অনেক পাপ কাজ।(নিচের দিকে তাকিয়ে) তাহলে কি স্বাধীন দুধ পান না করে মরে যাবে ফাদার।আমার দিকে দেখুন আকাশ না। এই বাচ্চাকে আমার কাছে দাও,আরে বাবা দাও না নাত্তায়া করে দিয়ে দিব আমি রাখবো না দাও।এই যে এই যে অ্যা অ্যা আরেকটু আরেকটু।দেখ পরি সাবানটা খুব সুগন্ধি।এই তুমি ধরবে না।ঠিক আছে মাদার,ওয়াও স্বাধীনের সব কিছু নতুন ন্যাপকিন,তোয়ালা ও কানটুপি। নাও নাও দুধ পান করো স্বাধীন।তোমার মন চাইলে এই বাচ্চাকে এখানে রেখে যেত পার।আর তুমিও এই আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে পার।কি যে বলেন আমরা কি এতিম,যার মা বাপ মরে গিয়েছে তাদের জন্য এই আশ্রয় কেন্দ্র।এতো মা বাপ হতে দুরে সরে গিয়েছে তকদির খারাপ হওয়ায় যেমন আমি তাহলে এতিম খানায় কেন রাখবো। নিরাপত্তার জন্য রাখতে পারো কারন এটা ছোট বাচ্চা।আমি দিব নিরাপত্তা ফাদার এই দেখুন কত বড় আঘাত পেযেছি পেটে তারপরও তার কিছু হতে দিনাই।আমি বলছি...।না ফাদার আমি তাকে আশ্রয় কেন্দ্রে রেখে যেতে পারবো না দয়া করুন।মাদার বাচ্চা দিয়ে দিন।ধন্যবাদ ফাদার,ধন্যবাদ মাদার। এই কি তোমরা আমার পিছনে কেন লেগে আছো।এই টেস্টার বাচ্চা আমাকে দেয়।না পরি তুই পারবি না সে এখন দুধ খেয়েছে তাই ভারি হয়ে গেছে।পারবো নিতে পারবো দেয় তুই আমরা তোর সাথে আছি।তোমরা তোমাদের ইচ্ছায় আমার সাথে আসতেছো আমি বলি নাই।এর যখন মা মিলে যাবে তাহলে বাপও মিলে যাবে তা না টেস্টার।থাক থাক এত কথা বলিস না।এই ট্রাফিক কি ময়লা ধরতেছিস যেত দিন স্বাধীন আমাদের সাথে আছে তুই ময়লা ধরবি না তাহলে স্বাধীনও তোর মত হয়ে যাবে।এই দেখ শুধু একটা পাথর নিয়েছি।(চলবে)(১৫ম পর্ব)-------------ধন্যবাদ মা-------------- পাথরও হাতে নিবি না,কেন নিয়েছিস পাথর। যে স্বাধীনকে চুরি করছে তার মাথায় পাথর মেরে রক্ত বাহির করে পালাবো।আবে তুই বার বার পালানোর কথা কেন বলিস,স্বাধীনকে আমরা চুরি করি নাই যে চুরি করেছে সে পালাবে আমরা না শালা বেকুব।টেস্টার ও কোথায় থাকে যে স্বাধীনকে চুরি করেছে।খোজ করতে হবে পরি।কিন্তু তুই তো বলছিস তাকে তুই দেখছিস।তার চেহারা দেখি নাই।লও হে আল্লাহ।ওই ট্র্যাক্সি দেখেছি যেটাতে সে এসেছে ট্র্যাক্সির পিছনে শাকিব খানের ছবি লাগানো।ওই পটকা এদিকে আয়।কেন রে,গাড়ী তো ধুইতে দেয়।আরে পটকা চল চল।শাকিব খানের ছবি লাগানো ট্র্যাক্সি কার এবং কোথায় পাবো।"তেরি নাম হাম নে লিয়া হ্যা" এই পরি ট্রাফিক তোরা চুপ কর চিন্তা করি রাখ।দেয় পঞ্চাশ টাকা দেয়।পরে দিব এখন বল।বাকির কাম নাই এখন দিবি।ঠিক আছে বল।এই যে বড় সেগুন গাছের নিছে গাজা বেচা হয় সেখানে তোদের শাকিবের ছবি ওয়ালা ট্র্যাক্সি মিলবে।এখন চলে যা একদম সঠিক সময়,গিয়ে ইউছুপ ভাইকে জিজ্ঞাস করবি।ইউছুপ ভাই দুবাই ওয়ালা।হ্যা,দেয় এবার মাল দেয়।না প্রথম চেক করে দেখি তারপর তোর মাল।ওই আমি বলছি না সেই ট্র্যাক্সি।তুই মুখে বললে হবে না আমরা চেক করবো পরে পয়সা দেব যা চল।আবে যা শালা।সিনদি চোর শালা তোদের মারে..।ওই বহুত বক বক শুনছি মাদার..লও তোর টাকা।আর কখনো স্বাধীনের সামনে গালি দিব না যা দুর হয়ে যা সামনে হতে। "তেরি নাম লিয়া..।এই মামু তোকে আড়াই,তোর ভাইকে সোয়া,তোর আশেপাশেদের কে কিলো এমন দেওয়া দিব সারা জীবন মনে থাকবে।দাড়া,দাড়া তোর মারে.....। পটকা ট্র্যাক্সি ধৌত করে জীবনের আগল খোলা রেখেছে।এই আগল দিয়ে বিবি বাচ্চার যাতায়াত জীবনের অন্দরে।তাই তাদের ভরন-পোষনও তার দায়িত্ব আর এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দ্রব্যমূল্যের উচ্চ দামেই পটকাকে মালের পিছনে হাত বাড়াতে হল টেস্টারের মত অপগন্ডোর দিকে।কিন্তু চেয়ার টেবিল নিয়ে বসা উচু মানের ভদ্র লোকজন কেন মালের দিকে হাত বাড়ায়,লজ্জ্যাহীন ভাবে বলে মাল দেন কাজ হবে।তাদের জীবনের অন্দরেও তো বিবি বাচ্চা বিদ্যমান তাহলে মাল খেয়ে এইসব ভদ্রলোক আরেক মাল খাওয়া মানুষ সমাজে সৃষ্টি করছে ?এই মাল খাওয়া সন্তানেরা রাস্তায় দাড়িয়ে নারীকে মাল বলে অভিভাষণ করছে।এই মাল খাওয়া সন্তানেরা চাপাতিবাজ হচ্ছে,এই মাল খাওয়া সন্তানেরা টেস্টার জম্ম দিচ্ছে।কখনো কখনো টেস্টারেরা কাক কুকুরের খাবার হয় কখনো কখনো সজীব মানুষের হাতে পড়ে জীবনের সজীবতা ফিরে পায়।কিন্তু স্বাধীন কি পাবে,কোথায় খুজবো সেই মাকে।কেন কিসের ভয়ে,কিসের কষ্টে স্বাধীনকে ও আমাকে তার বুক থেকে বিচ্ছিন্ন করল তা কি পৃথিবী জানতে চাইবে এবং আমি ও কি সমাজের বাকা চোখ হতে বাঁচতে পারবো। পরি তোর নাক পরিস্কার করতো।হুম করছি।নেয় এরে কোলে নেয়।তোরা এখানে দাড়িয়ে থাক আমি কথা বলে আসি।ওই দুবাই ইউছুপ কি আপনি,এই ট্র্যাক্সি কি আপনি চালান।হুম,ইউছুপ ভাই তোমার সাথে আমার দরকারি কথা আছে।"মেরি নজর.....এই কে কে টেপ বন্ধ করল(গাজার কলকি হাতে গাড়ীর ভিতর)।আমি বন্ধ করছি টেপ,তুমি আমার কথা শুনছো না তাই।কেন কেন,আরে কে তুই।টেস্টার,ডাস্টবিন।আরে এটা কোন নাম হল টেস্টার এখানে কেন মরতে আসা ভাই যা ভাগ এখান হতে।ই-উ-ছুপ ভাই একটু কাজ আছিলো।কি কাজ।পরশু রাতে তোমার ট্র্যাক্সি পৌরসভার ডাস্টবিনের কাছে দাড়িয়ে আছিলো,তখন গাড়ীর ভিতর এক মহিলা বসা ছিল কে সেই মহিলা।তুমি তাকে কোথায় হতে নিয়ে আসছো আবার কোথায় নামিয়ে দিয়েছো আমি তার ঠিকানা চাই।ওই মহিলার বাচ্চা রাত গেছে কথাও গেছে যা এখান হতে অন্য ট্র্যাক্সি ওয়ালাকে জিজ্ঞাস কর যা কুত্তার বাচ্চা।"জীবনোও আধারে পেয়েছি তোমারে চির দিন পাশে থাকো ওগো বন্ধু" তোর মারে শালা হারামি আবার টেপ বন্ধ করলি।যতক্ষন তুমি আমার কথার উত্তর দিবে না ততক্ষন আমি যাব না।ও ঠিক আছে শুন শুন।ঠিক আছে দুরে থেকে বল।রাত কয়টা বাজে।সাড়ে বার বাজে।সাড়ে বা..র বাজে।কোথায় কোথায় কাছে আয়।পৌরসভার অফিসের সামনে।ও আচ্ছা আ্চ্ছা পৌরসভা...আরে শালা (কষে থাপড় মারে) দ্বিতীয় বার গাড়ীর কাছে আসলে কেটে সাগরে ফেল দিব হুম মাছে খেয়ে ফেলবে।চল ভাই।মারছো কেন তাকে,এত জোরে থাপড় মারছো ও রাস্তায় পড়ে আছে।এই আমার নেতা একটা লাথি মারবো ফুটবলের মত।টেস্টার ওর মাথায় চড়ে আছে গাজা।কি কি শালার বাচ্চা।চল ট্রাফিক। (চলবে) (১৬ম পর্ব)--------------ধন্যবাদ মা-------------- এই রনজিত আজ আর টেক্সি চালাবো না,নদীর ধারে যেহেতু এসেছি গাড়ী ধুয়ে তুই বাড়ি চল যা,আজ তোর কালহরণ।ঠিক আছে ওস্তাদ।অনেক দিন সন্তরণ দিয়ে নদীতে গোসল করি না আজ তাও করবো এই কাপড় ক্ষালিত করে গাড়ীর উপরে জলশূন্য করতে দেয়।তাই করছি ওস্তাদ।যা তুই,গাড়ীর দরজা খুলে দেয়,টোপ রেকড়িং চালু কর আমি টানতে টানতে ঘুম দিই।"আয়ে লাভ কা বনগে কাওয়ালি"।টেস্টার এই শালাকে একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার।কি করে সম্ভব হবে।এখন সে গাড়ীতে ঘুম যাচ্ছে।হুম,ট্রাফিক এত সহজ না কাজটা।চল দেখি কি করা যায়।আস্তে আস্তে ট্রাফিক গাড়ীর উপর হতে কাপড় স্থানান্তরণ কর সে যেন বলতে না পারে। সব কাপড় পরির কাছে দিয়ে আয়।ট্রাফিক দেখ দেখ শালা বুড়া মানুষ লুঙ্গি না পরে শবটা ঢেকে রেখেছে।নিয়া চল,হা হা হা শালা পুরা নগ্নক।টেপ বন্ধ কর।এই কে কে,তোর মাকে শালা এমন মার দিবো এই হারামির বাচ্চারা।এই বুড়া তুই কি পাগল নেংটা রাস্তায়....তোর মা বোন নাই।আরে বোনেরা (পাছার উপর দুই হাত) ওহ মা।আমি গাড়ীতে বসি(পট পট সব দরজা বন্ধ করে)।পরি তুই যা লুঙ্গি নিয়ে হ্যালো ইউছুপ ভাই আমি তোমার লুঙ্গি দিব।এই এই একবার হাতে পেলে হাত-পা কেটে ভর্তা বানিয়ে ফেলবো।আরে বুড়া গাড়ী হতে বাহিরে আয়।চল চল আমরা চলে যাই বুড়ার সম্মান নাই। না না,আমি তোমাদের কাকু হই।কাকুর সাথে এরকম রগড় করে না সত্যই সত্যই আমি তোমাদের কাকু বাবারা।তোমাকে আমরা সঙ্গিন হয়ে বলছি যে তুমি শুন নাই,আমাদের কি করার আছে।ওহ মা কি যে করি,আমি বেকুব,আমার ভুল সব,বাবারা কাপড় দাও সব বলবো।না সব বল এরপর কাপড় দিব।এই রনজিত আমাকে বাঁচা কোথায় তুই মরতে চলে গেলি।আগে কাপড় দাও সব বলবো কাপড় না দিলে বলবো না।হা হা হা শালা বুড়া বেকুব মনে করছো।এই ট্রাফিক ইউছুপ ভাইর সব কাপড় নদীতে ফেলে দেয়।ঠিক আছে ঠিক আছে টেস্টার,এই না ফেলবি না বলছি বলছি। সেই মহিলাকে বাস দাড়ানোর জায়গায় আমি পেয়েছি,সে বললো করিমপুর নিয়ে যেতে আমি তাই করি।সেখানে আমাকে এক ঘন্টা বসিয়ে রাখে আর আমি বসে বসে সিগারেট টানি।সেখান হতে কলাতলি আসতে বলে একটা জীপ গাড়ীর পিছ নিয়ে আমি তাই করি আর জীপটা কলাতলি রেল স্টেশন কোয়াটারে আট নাম্বার বাংলার সামনে দাড়ায়।সে মহিলাটা গাড়ী হতে নামে এবং আমাকে বলে জিনিস দেখে রাখতে অনেকক্ষন অপেক্ষার পর সে না আসায় আমি মাল টানি,খালাস.....।এসে বলে কদমপুর যাবে সেখানে দেরি করে নাই আমি সিগারেট হাতে নিতেই আমার সামনে মহিলাটা,বলে চল।সে আমাকে দুই হাজার টাকা দিয়েছে,সিগারেট ও এক বোতল মাল দিয়েছে....(এদিক সেদিক দেথে কেউ নাই) এই র ন জি ত।(কান্না স্বরে) কোথায় রে তুই রনজিত,এই বাচ্চার দল আমার ইজ্জত খাইলোরে।(চলবে)। (১৭ম পর্ব)---------------ধন্যবাদ মা----------- এম ডি মোতালেব,অফিসার,কদমপুর শাখা সোনলী ব্যাংক।এই পরি দেখ কি নাম লিখেছে।এই তো মো তা লেব অফিসারের নাম লেখা।আমি বলে গিয়েছি প্রভার ছেলেকে দিয়ে ঘরের সব পর্দা পরিবর্তন করে নিতে কিন্তু না কে শুনে কার কথা।তুমি কেন শুনবে আমার কথা তা ছাড়া আমি ঘর হতে গিয়েছি মাত্রই পুরা ঘর ডাস্টবিন বানিয়ে রেখেছে ।আর আপনি কোথায় ছিলেন,অফিসের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন একটি বারও দেখেন নাই বাচ্চারা ঘরের কি অবস্তা করতেছে।আরে প্রিয়া আমি কি জানি আমি তো আর ঘরে বসে থাকি না। তা ঠিক তুমি কি জানো,তোমার অফিস আর আড্ডা।আমি ঘর হতে বাহির হলেই তো পুরা স্বাধীনতা মিলে যায় আর যা মনে আসে তুমি তা কর।এবার একটু মুখ বন্ধ কর,তুমি ক্লান্ত বিশ্রাম নাও।ওরে আমার দরদীরে আমার কষ্ট হলে তোমার কি।এই এই কি করতেছ(স্ত্রীকে পাজা কোলে তুলে নেয়) বাচ্চারা দেখছে।ঘরের অবস্তা দেখেছ কি রকম। হুম।কিন্তু মনের অবস্তা আরো খারাপ।হাঃ হাঃ হাঃ এখনো কত সহজে তুমি আমাকে উঠাতে পার।আরে না এত সহজ না,এত সহজ না।আরে বাপ..রে আরে মামনি তুইও এসে গেলি। এই কে কে(দরজায় কলিং বেল বাজে) আমি দেখছি দাড়ও।এই কি,কোথায় হতে এসেছ,কাকে চাও।সাব এই আপানার বাচ্চা।কি! কি!,কোন তোমরা,কি চাও।কয়েকদিন আগে যে মহিলা আপনার সাথে দেখা করতে এসে ছিল সেই এই বাচ্চাকে পৌরসভার ডাস্টবিনে ফেলে চলে,এই চুপ চুপ। কে প্রিয়।কিছু না প্রিয়া,চাঁদা উঠাতে এসেছে।বাবা বাবা আমি দেখবো।না না বাবা তুমি ভিতরে যাও।এই তোমাদের কত টাকা দরকার(দরজা বন্ধ করে) এই চল বাহিরে চল চল।এই নেয় । চাচাজী আমরা চাদা তুলতে আসি নাই।তারপরও আমি দিচ্ছি এই নেয় আর রাস্তা মাপ যা যা এখান হতে।কি হয়েছে প্রিয়,কি চায় বাচ্চাগুলা।কিছু না প্রিয়া,টাকা কম বলে নিচ্ছে না বলে আরো বেশী দিতে হবে।বাবা এরা আপনার পয়সা কেন ফেলে দিল।আরে সোমাকে ভিতরে নিয়ে যাও না,এই কেমন করে গ্রিলের উপর উঠে আছে।এই যা যা বলছি যা দিয়েছি তা নিয়ে যা দুর হও।বাহিরে যা,এখানে কোন মহিলা টহিলা আসে নাই,যা যা বলছি।ওই ট্যাক্সি ওয়ালা তো এই ঠিকানা দিয়েছে।হ্যা পরি ঠিক বলছে,মহিলাটা এখানেই এসেছে।দুবাই ওয়ালার ট্যাক্সিতে এই বাচ্চা নিয়ে মহিলাটা এসেছে।ও তোর মারে....,কি চাও তোমরা।আমি মনে করছি ওই মহিলা তোমার বাচ্চা চুরি করেছে আর বাচ্চাকে পৌরসভার ডাস্টবিনে ফেলে চলে যায়।ও আচ্ছা,বুঝেছি বুঝেছি এই বাচ্চা আমার না যা যা এখন।তোমার বাচ্চা না হলে তাহলে কার বাচ্চা।আমি কি জানি যা সেই মহিলাকে জিজ্ঞাস কর যা।তাহলে কে সে মহিলা।হুম।কে সে,ওই মহিলার সাথে আমি মিলতে চাই।শালা তোকে বলছি না(উচ্চ স্বরে) যা এখান হতে।ঠিক আছে ওই মহিলার ঠিকানা দাও আমরা একদম চলে যাব।কোন এসব লোক।আরে প্রিয়া আজকাল এইসব লোক চাঁদা এমনভাবে চায় যেন জমা রেখেছে।ঠিক আছে আমি কঠিন ভাষায় বলতে হবে তুমি এক কাজ কর দরজা জানালা বন্ধ কর সোমা সব শুনে ফেলবে যে।বন্ধ কর,বন্ধ কর সাবাশ সাবাশ আমি এদের গালি দিয়ে এখনি দুর করবো যাও যাও।এই লও পাঁচ হাজার টাকা আর যা,দ্বিতীয়বার যেন চেহারা না দেখি।একবার বলছি না আমরা টাকা চাই না। (চড় মেরে ট্রেস্টার কে) টাকা ফেলে দিলি।শালা আবার মারলে তোর পাছা দিয়ে এই রড় দিব।এই ট্রাফিক ।শালা সুন্দর করে বললে হবে না লাঠির মার খেলে যাবি।ও মাগো,ওহ মাগো।যা যা এখান হতে।(চলবে) (১৮ম পর্ব)-------------ধন্যবাদ মা--------------বৃষ্টি যেন কখনো কখনো চিত্র ধুয়ে দেয়।তা ঠিক কিন্তু আজ তোমার মন এত খারাপ কেন,বৃষ্টি দেখলে তো তুমি নজরুল!শুনো,আর ছোটকালের গল্প শুনাও।বৃষ্টির সময় জানালার পাশে বসে নজরুল শুনতে শুনতে অংক করা তোমার কাছে সহজ মনে হতো,আরো কত কি।এই নাও ভূট্টা ভাজা খাও আমি কাজ করি।যাও তাই করো।ইস,দেখো দেখো এমন প্রবল বৃষ্টিতে ছোট্র একটা বাচ্চা নিয়ে মাথায় প্যালাস্টিক ধরে বাচ্চাগুলা এদিক চেযে দাড়িয়ে আছে।এই তুমি যাও তো কাজ কর,বস্তির ছেলেরা সব সয়ে যেতে পারে।কিন্তু তোমাকে এত ভেস্তা দেখাচ্ছে কেন?বাচ্চাগুলা আমি দেখে আসি তারা কি চায়,কেন যায় না।এই নাও ছাতা মাথায় দিয়ে যাও,দেখ মেয়েটার চেহারায় কতনা নেহ।মেয়েটা দেখতে মতিহান যদি শুচি হয়ে চলতো রাজকন্যার মত লাগত।তোমার এত দয়া কেন হচ্ছে শুনি,দাও দাও ছাতা দাও।খারাপ কিছু বল না বৃষ্টি থামলে এমনিই চলে যাবে।হুম।জলকণা না যেন জলের পাথর উপর হতে নিক্ষেপ হচ্ছে।মনে হয় যেন প্রতিটি জনকণা আমার শরীরের মাংশ প্রভেদ করে ভিতরের রুহকে আঘাত করছে।ছোট ছোট বাচ্চাগুলা দৃঢ় মনবোল নিয়ে একটা শিশুকে মায়ের বুকে ফেরত দেওয়ার যে প্রত্যয় তা কিসের মোহ।আমি কি বাচ্চার নৈতিকতা হতেও দুরে,কিসের চটুলতায় আমি শিশু বেচাকিনায় মধ্যস্হতা করি,একি আমার সোনামনিদের মায়াবি মুখ কেন মনে আসছে আজ বার বার,ওহ না না আমি ছাতা মাথায় দিব না আজ,বৃষ্টি পাথর তুমি আমার বুক ভেঙ্গে দাও।আজ হতে আমি সজীব মানুষ হতে চাই।বাচ্চাদের কি বাসায় নিয়ে আসবো,তারা কি বাসায় এসে সব বলে দিবে! কোন রকম করে এদের বিদায় করতে পারলে আর কোন দিন এই কাজ করবো না ওয়াদা বিধাতা।এই তোরা এখনো এখানে,পুলিশকে ফোন করছি দাড়া।কর পুলিশকে ফোন(সিংহের মত গর্জন এবং সবার চোখে যেন আগুন)।ওই মহিলার ঠিকানা দেয়।চুপ কর ট্রাফিক,সত্যই সত্যই পুলিশকে ফোন করতেছে চল চল ট্রেস্টার।না পরি যাব না।চল আমরা চলে যাই।চুপ শালা তুই শুধু পালানোর কথা বলিস কেন,পুলিশ সে কখনো ডাকবে না ট্রাফিক।শুন সব বলবো তবে জীবনে কোন দিন দ্বিতীয়বার এখানে আসবি না।ঠিক আছে।ওর নাম মায়া।কলাবাগান ৪ নাম্বার রোড়ে মায়া ভিলায় থাকে আমি তার বাসায় দুইবার গিয়েছি এইছাড়া আর কিছু জানি না।এই চল।(চলবে)(১৯ম পর্ব)---------------ধন্যবাদ মা-----------কি যে হয়েছিল আমার কেন যে মহিলাটা বাসায় এনে ছিলাম সেই দিন।তু তু তুমি(হাত হতে ছাতাটি নিচে পড়ে যায়)।হুম,আমি কি বিশ্বাস হচ্ছে না,তুমি ভেবে ছিলে সেই মহিলা যে কিনা বাচ্চা ফেরি করে খায়।এই তুমি কিসের ভয়ে এরকম হতভম্ভ,চেহারাটাও পান্ডুর করে রেখছো।তোমার এই চেহারাটা কোন মানুষের আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা যে মানুষটাকে প্রতিদিন সকালে গলায় ট্রাই বেঁধে দিয়ে হাত ব্যাগ বাড়িয়ে দিই সেই! নাকি বাচ্চা ফেরি করা মহিলার পার্ষদ।তুমিই কি আমার পতিদেব,তুমিই কি আমার সন্তানের বাবা,তুমিই কি সেই শেত-শ্রভ্র মানুষ।তুমি এবার চুপ করবে দয়া করে,সামনে আর এমন কাজ কখনো করবো না।কেমন করে করবে,করলে যে তোমাকে স্ত্রী ও সন্তান ছাড়া থাকতে হবে।আর তোমার কারনে যেসব মানুষ সন্তান হারা হয়েছে তারা কি সন্তান ফিরে পাবে,তারা কিরে তোমাকে ক্ষমা করবে?কিসের বিভ্রমে নিজ সংসারের প্রপঁচহীন হলে তুমি।আমার প্রতি তোমার অকৃত্রিম ভালবাসাতেই আমি সুখে আছি আহার্যপূর্ণ ঘরে।আমি কোনদিন বাড়তি কোন কিছুই চায়নি আমার বাচ্চার জন্য তাহলে তুমি অন্যের বাচ্চা কেন ফেরি করে বাড়তি কামাতে গেলে।তোমার একটিবারও কুল এবং দপ্তর অধীশ্বরে আসে নাই এই কাজ করতে(হু হু করে কেঁদে)।এই শুন,একবার শুধু একবার ক্ষমা করে দাও,আর কখনো করবো না।কিন্তু যাদের তুমি সন্তানহারা করছো তাদের কি হবে।আমি বড়াই করতাম আমি ঘুস খাওয়া মানুষের বউ না,আমি হিতকর মানুষের সহচর।ওহ মানুষ কতনা তুমি অচেনা,তোমার ঘরে একরুপ আর বাহিরে একেবারে আরেক রুপ।দয়া করে ভুলে যাও সব,আমি এখন হতে আর কোনদিন এসব কাজ করবো না।কিন্তু তুমি বিশ্বাসটাকে ঘরের মঁচ এর উপর আচড় মেরেছো।এত নিগূঢ়ে যেও না,তুমি যা চাও তাই করবো দয়া করে এবার প্রথিত হও।আচমকা বিড়ালের গায়ে লেগে টেবিলে রাখা জল ভর্তি গ্লাসটা মেঝে পড়ে ভেঙ্গে নির্জিত।আঁখির পয় ফোটা ফোটা সেই জলের গায়ে পড়ে,আমি গ্লাসের টুকরা দিকে দৃষ্টি নিলীন করতে আঁখিতে সাগরের ঢেউ উঠে।ছোট একটি চড়ুই পাখী বারিন্দায় গ্রিলের উপর বসে আছে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার ভয়ে।এই চড়ুই পাখী মনে হয় যেন আমার মত দুঃখী কুলহীন।আমার সব আছে ঘর,স্বামী,সন্তান তবুও যেন কিছুই নেই পরবাসী আমি এই ঘরে।আজ যেন মনে হচ্ছে আমার কোন জগত নাই,স্বামী ও স্ত্রীর ছোট ছোট ভুল-রাগের কারনে অবিশ্বাস আসলে সংসারতো আর রঙ্গিন থাকে না আর রংহীনতার ভিতর আমাকে হাসতে হবে স্বামীর সাথে,সন্তানের সাথে এবং আশেপাশের নিকটজনের সাথে আর মনে হয় এটাই সংসার, এটাই জীবন হয়তো।(চলবে) (২০ম পর্ব)-----------ধন্যবাদ মা---------------ভাই মায়া ভিলা কোনটা।জানি না।ভাই মায়া ভিলা কো ন টা।এই টেস্টার এই যে বাম পাশে মায়া ভিলা।এই পিচ্ছি এখানে কি তোর কার খোঁজ করতেছিস।কাকা মায়া খালা আাছে।না এখন বাসায় নাই,উনি নারী সমিতির মিটিং-এ গিয়েছে।আসবে কখন জানেন আপনি।বিকাল পাঁচটায় বড় পুকুর পাড় জাম তলা রোড় গেলে দেখা পাবে।এই শাালা বাহিরে যা,পকেটে নোট নাই আর এসে গিয়েছে আমার কাছে।যা শালা দ্বিতীয়বার আসতে কট কটে নোট নিয়ে আসবি।আরে চাচা তুমি কেন ভয় পাচ্ছো,এসব দেখে ভয় ফেলে চলবে না এসব মামুলি ব্যাপার।এই গিট্টু উনাকে মিরার রুমে নিয়ে যা।এই তুই এখনো যাসনি,চল উঠ শালা(ব্লাউজ পেটিকোট পরা আধা বয়সী মহিলা সাইত্রিশ বছর বয়সী নেশাগ্রশ্ত লোকটার পাছায় লাথি মারে)।এই খালি খালি কেন খদ্দের সাথে ঝগড়া করিস,খালার নাম খারাপ হবে যে।এই যা তুই তোর বাপকে খালি পকেটে আমার কাছে কেন পাঠিয়েছিস।যা যা কাম কর,আমি দেখব।এই পাঁচ আনা দুই আনা আমাকে দিস।ভাইয়াজ্বী একটু শুনুন।মায়া খালা কোথায় থাকে।কেন কি কাজ খালার সাথে,কার দরকার খালার সাথে কথা বলা।আমার দরকার।হাঃহাঃহাঃ তোর দরকার,দুধের দাত এখনো পড়ে নাই সে আসছে মায়া খালার খোজ করতে যা যা চল।মায়া খালা কোথায় বল।পরির কথায় গিট্টু ফিরে দাডায়(পরির পা হতে মাথা পর্যন্ত দৃষ্টিতে পরতাল করে)তোমরা কি সব এক সাথেই।হুম একসাথে।চুপ কর ট্রাফিক।চল আমার সাথে,কি কাজরে।এই স্বা ধী ন।এই চুপ ট্রাফিক।আছে একটা কাজ খালাকেই বলবো।এই চোকরি তোর বয়স কত।তোর জানার কি দরকার।এই প্রতিটি কথার উত্তর চাই টেস্টার বুজলি আমিই এলাকার রাজা,ওই রাবিনা কি খবর তোর হিরো এখনো আসে নাই। যা যা দালাল,নিজের কাজ কর।দেখ সবাই কত ইজ্জত করে।এখানে দাড়িয়ে থাক আমি এখনি আসছি।দরজায় দাড়ানো মেয়েদের দেখ টেস্টার কেমন করে দেখছে আমাদের।এতসব দেখার দরকার নাই পরি,আমরা যে কাজে এসেছি তা হলেই হল।এই এরা ঠোঁটে এমন লাল করে লিপস্টিক লাগিয়ে পুরুষ মানুষের হাত ধরে দোতালা হতে নেমে আসছে কেন।চুপ করতো ট্রাফিক।খালা কচি একদম কচি মাল আসছে একটা।যা নিয়ে আয়।এই শুন খালা ডাকতেছে,এই তোরা থাক পোলা মানুষ যাইতে মানা আছে,তোরা এখানে দাড়িয়ে থাক এই তুই চল।সে গিয়ে কি করবে কথাতো আমি বলতে চাই।যেটা বলছি সেটা শুন শুধু শুধু প্যান প্যান করে সময় নষ্ট করবি না চল চল(পরির হাত ধরে টানে গিট্টু,পরি দম জয়ের প্রাঁজল হাসিতে সিড়িতে পা বাড়ায়)।তোরা এখান হতে কোন দিকে যাবে না।পান মুখে নীল শাড়িতে মায়া খালা চেয়ারে বসা।খাটের উপর এলোমেলো শাড়িতে এক মেয়ে ঘুমে বিভোর,বুড়া লোকটা কেন খালার পাশে বসা কি জানি।পরির নাকের পানি বাম হাত দিয়ে নিয়ে জামায় মুছে,আর ডান হাতে মাথা চুলকায় হয়তো উকুনের দাহ সহ্য হয়নি।এদিকে আয় মা,আমার সামনে আয় মা।(খালা হাত ধরে টিপে টিপে দেখে) গিট্টু পুলিশ টুলিশের চক্করতো নাই।খালা এইসব কিছু আমি দেখবো কয়েক দিনতো থাকতে দাও।এই এই তোরা কেন ভিতরে এসেছিস এই দিকে আয়,এই দিকে আয়।এই বান্দির বাচ্চা তোরে একবার বলেছি না বাজে লোক যেন আসতে না পারে।এই কি চাই তোদের।খালা এই বাচ্চা কার বলতে পারো,এক লোক তোমার ঠিকানা দিয়েছে।এই দেখতো এইটা লক্ষীর বাচ্চা কিনা।এই তো তোমার পাশে বসা লক্ষীর বাচ্চা।আরে এটা না।এই চল পরি (বাঘের গর্জন করে টেস্টার)।ওহ খালা এটা লক্ষীর পোলা একদম।(চলবে)

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।