আর্যভট্টের উড়ুপি
- সুদীপ তন্তুবায় (নীল) ২০-০৫-২০২৪

পঁচাশির বর্ষাটি পূর্ণতা পেল না ।
ইসরোর ইমারতের ঈগল
দুটি চোখে বেঁধে নিয়েছে বিবর্ণ রুমাল ।

ভাস্কর - তাঁকে চেনে ।

গ্রহ-নক্ষত্রের শরীর জুড়ে আগুন-বরফে লেখা-
উড়ুপি, উড়ুপির নাম ।
পয়লা চন্দ্রায়ন, মঙ্গলায়নের আবিরে
অনন্তের হোলি খেলার দিন,
স্মিত হাসিকে আলিঙ্গন করে দেখা তাঁর-
রাষ্ট্রীয় মহাকাশ ।

দুরন্ত ঈগলের তীক্ষ্ম দৃষ্টি তো ছোঁবেই
তারপরই তো অন্তরীক্ষ ছোঁয়া- অ্যাপেল,ইনস্যাট প্রেমে ...।

রোহিনী-ও - তাঁকে চেনে ।

পদ্মবিভূষনে অন্য মহাকাশ ছুঁয়ে যাওয়া একদিন ।

রিমোট সেনসিংয়ের সেন্সেবেল ভালোবাসা
সেলাইনের মতো ঝুলিয়ে,
রাষ্ট্র এডমিশন পেয়েছিল-
হাসপাতালের এক নির্জন বেডে ।
কৃত্রিম উপগ্রহের অ্যান্টিবায়োটিক আদর
যেন- রাতের আড়ালে সফেদ গোলাপের বুক থেকে
কাফন সরিয়ে ভোরের সাম্রাজ্য -
রঙীন শাড়ীর অহংকার !
আরও বেশি কিছু ......

এই পঁচাশির বর্ষাটি আর পূর্ণতা পেল না ।
হয়তো অপূর্ণতার অথই আঁধারে
সাঁতরে চলেছে ইসরোর ইমারত !
জানি, পূর্ণ- বেশ - তবুও ...
একটা সাকার শূন্যতায় ----

বার্ধক্যের বসন্তে ফোটা শেষ ফুলটি নিয়ে
ফিরে গেলেন মহাকাশে ...

গল্পটা শেষ ?

কোটি হৃদয়ের হরতন আগলে রেখে দুরন্ত,
উড়ন্ত ঈগল- আর্যভট্টের উড়ুপি -

কভু যে হারায় না বন্ধু ......।


*** (প্রয়াত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্টের স্রষ্টা এবং মহাকাশ গবেষণার পথিকৃৎ ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান উড়ুপি রামচন্দ্র রাও- এর স্মরনে লেখা)***

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।