অপেক্ষার সাতকাহন
- ইমরান আহমেদ ১৯-০৪-২০২৪

অপেক্ষার প্রজাপতি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললে, 'দাড়িয়ে থাকো।'
অামি দাড়িয়ে আছি।
ভেবোনা চকিতে অন্যমন হয়ে
মুঠো খুলে ছেড়ে দেবো!
বস্তুত আমি অপেক্ষার পূজারী,
অামার অস্তিত্বের শুরুই হয়েছে
জন্মানোর অপেক্ষা দিয়ে,
অার জন্মলগ্ন থেকে মৃত্যুর অপেক্ষা।
এই যে এখন নেশাতুর চোখে
দেখছি পৃথিবীর সব
লুফে নিচ্ছি বিলাসী মদ,
তাবৎ বিত্ত বৈভব।
পেতে চাইছি তোমার ভালোবাসা
মুগ্ধ হয়ে পৃথিবীর পথে-প্রান্তরে
ঘুরছি দূর-সুদূর
হৃদয়ঙ্গম করছি পিয়ানোর টুংটাং ছন্দ,
ট্রাম্পেটের সুর,
সবকিছুই সেই সার্বজনীন মৃত্যুর
বর্ণিল অপেক্ষা ছাড়া আর কী?
আমার কাছে আমি, তুমি, রোদ, বৃষ্টি,জোছনা
সবই যেন নানা রঙের ক্রেয়ন
এসব দিয়ে অপেক্ষার অধ্যায় গুলো
রাঙাই আমি।
যখন আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামে
ভিজে যায় সুউচ্চ দালান, রাজপথ
আমি তখন খুঁজি চৈত্রের রোদ।
আবার যখন খা খা রোদ্দুর
তখন ইচ্ছে করে,
চারপাশ ঝাপসা ক'রে কুয়াশা নামুক।
কোনো এক অবাক রাতে,
জোছনার আলো যখন
ছুঁয়ে যায় তোমার চোখের মনি,
পুরো শহর প্লাবিত হয় রূপোলী আলোয়-
আমার মধ্যে এসে ভর করে
এক অমাবস্যার নির্লিপ্ত অপেক্ষা।
তুমি ভাবতে পারো আমায়-
'নতুন কিছু চাই, অন্য কিছু চাই' বলা উদ্ভ্রান্ত এক।
খুব অপেক্ষাপ্রবণ।
তবে কবিতাকে সাক্ষী রেখে ব'লে গেলাম-
তোমাকে পেলে পূর্ণ হবে
অপেক্ষার সাতকাহন।
তোমার জায়গাটি জন্ম মৃত্যুর মতোই ধ্রূব
কারণ তুমি তো আর রোদ, বৃষ্টি বা জোছনা নও
তুমি যেন ক্রেয়ন বাক্সের সবুজ রঙ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।