কল্পলোকে তুমি
- ইমরান আহমেদ ২৯-০৩-২০২৪

খুব বৃষ্টিতে আমি যখন
হুড তোলা এক রিকশায়
নিজেকে রক্ষা করছি
একটা প্লাস্টিকের কাগজে,
ঠিক তখনই স্পষ্ট বুঝতে পারলাম
এই বৃষ্টিভেজা শহরে
তুমিও সবুজ শাড়ি পরে
রিকশায় করে কোথাও যাচ্ছো,
রিকশা থামিয়ে কিনছো শিউলি-মালা।
বৃষ্টির ঝাপটায় ভিজে শেষ তুমি,
সেদিকে খেয়াল নেই তোমার।
আবার যখন রৌদ্রদগ্ধ কোনো এক দুপুরে,
সকল প্রয়োজন অস্বীকার করে
ভাবছি,
আজ আমি কোথাও যাবোনা।
অমনি চোখের সামনে ভেসে উঠলো
এমন চিত্র-
এই পিচ গলা রৌদ্রেই
বাইরে যাচ্ছো তুমি,
পোষা বিড়ালটার জন্য খাবার কিনতে।
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি,
তোমার রক্তিম গাল বেয়ে
বিউটিবোন অবধি নেমে এসেছে
ঘামের দাগ।
আমি যখন রাস্তার পাশের
কোনো এক দোকানে রং-চা হাতে;
চুমুক দিবো-
ঠিক তখনই দেখতে পেলাম,
ক্যান্টিনে বসে তুমিও
ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের কাপে
চুমুক দিতে যাচ্ছো;
তোমাকে থামিয়ে দিয়ে,
তোমার কপালের বাঁকা টিপটা
ঠিক করে দিলো
তোমার এক মেয়ে বন্ধু।
বাইশে শ্রাবণের সন্ধ্যায়,
আনমনে বারান্দায় বসে
চোখ বুলাচ্ছিলাম সঞ্চয়িতায়,
হঠাৎ আমার ভাবনার
সবটুকু জুড়ে এসে গেলে তুমি,
দেখি তুমি বাইরের
নিয়ন আলো মাখা অন্ধকারে হাঁটছো।
তোমার স্লিপার থেকে ছিটকে উঠছে কাদা,
নষ্ট করছে নীল কামিজ।
শুনেছি মেয়েরা নাকি জন্ম থেকেই
এসব ব্যাপারে সাবধান হয় খুব।
কিন্তু তুমি কেমন নির্বিকার!
তুমি বলেছিলে,
তুমি কাজল পরা এক কৃষ্ণকলি হবে।
অথচ প্রত্যেকদিন, প্রত্যেক ক্ষণে
আমার কল্পলোকে চষে বেড়িয়ে,
এ কোন শিল্প আন্দোলনের
আয়োজন করছো?
প্রেমিকাদের ভিঞ্চি, ভ্যানগগ,
পিকাসোদের মতো হতে নেই,
জানো তো!
তাহলে কেনো আমার মস্তিষ্কের নিউরনে
নিত্য এঁকে চলেছো
এমন অদ্ভুত সব দৃশ্যপট?

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।