প্রিয় বনীতা আর কবিতা-৩
- মাহাবুব আলম - প্রিয় বনীতা আর কবিতা ২৭-০৪-২০২৪

কত কৃষ্ণচূড়া আমার দিকে চেয়ে চেয়ে
ঝরে গেছে,
মুখ লেপটে পড়ে থেকে কত গোলাপের
পচন হয়েছে এই চোখের সামনে ।
আমি নীরব থেকে থেকে সয়ে গিয়েছি তাদের আহাজারি ।
লাল কৃষ্ণচূড়া কিংবা গোলাপের পাপড়িতে
হাত দেয়ার অভ্যেস নেই বলে দূরে দূরে থেকেছি ।
ছোট্ট নদী মগরার ভরা যৌবনের জলে ভাসিনি,
ভেজাইনি আমার মন-প্রাণ-দেহ ।
উড়নচন্ডি ঘাস ফড়িং এর পেছন পেছন দৌড়ে গিয়ে,
থেমে গিয়েছি অকপটে,
তার মত উড়তে পারিনা বলে মুখ ঘুরিয়ে ফিরে এসেছি গোধূলীর কালেই ।
কৈশোরে বেপাশ হয়ে উঠেও থেমে গিয়েছি,
মাথার চুল গুলো উড়তে দেইনি,
করিনি মাতব্বরের ছেলের মত তাড়াহুরো কখনো ।
ভরা যৌবনে উরুর মাংশপিন্ডের থরথর কাপুনিতে
চোখ তুলিনি কখনো,
নরম কোনো হাতের স্পর্শ নিতে গিয়ে মনকে করেছি কারারুদ্ধ ।
তুমি আছো এই ভেবে হাত ধরে হেটে যাইনি আজও,
প্রিয়তমা করে কালো খোপায় পড়াইনি বেলী ফুলের মাঁলা,
তুমি আমায় প্রেম শেখাবে এই আশায় ।
দুই যুগ পার করে আজ তোমার দুয়ার হতে ফিরে যাই আমি,
আমি নিয়ে যাই তোমার নীরব চাহনি আর কুন্ঠিত মনের হাহাকার,
আমি হাত ভরে নিয়ে যাই তোমার কুটিল
প্রেমের দিস্তা দিস্তা পদ্যমালা ।
দিশা হারিয়ে আবার আসি তোমার গৃহে
আবার তুমি হাত ভরে দাও নিরাকারের মত ।
তুমি কী দাও আমি মুখ বুজে অদ্ভুত শান্ত হয়ে ফিরে আসি,
না তুমি জানো, না আমি ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।