হৃদয়ের পুনর্বাসন
- সোহরাব হোসেন - বেলা অবেলা ১৯-০৪-২০২৪

তুমিও আমার পথের সমান্তরালে চলো
অন্য পথ ধরে, দুর্মর আবেগী এলোমেলো।
ক্ষণেক্ষণে ছুটে চলো দিশেহারা দিগ্বিদিক—
আড়ম্বর দিন শেষে কক্ষপথের পথিক।
পীড়িত-ক্লান্ত, ভাঙ্গা-গড়া, বিভেদের দেয়াল
ফের আমার পায়ে পায়ে, চলো সমান্তরাল।

বড় শূণ্যতার মাঝে ছিলো সে কাঙাল বেলা,
পথহারা পথিক, ধীর শঙ্কিত পথচলা
একাকী একেলা পথে হেঁটেছি অনেক দূর,
যেতে যেতে একরাশ অন্তবিহীন আঁধার—
ষোড়শেই হারিয়ে খোঁজেছি নিজেকে, তখন
সঙ্গোপনে হয়ে এলে অকুণ্ঠ অবলম্বন।
পাশাপাশি পথচলা, বুনে যাওয়া মিতালি
বিন্দু থেকে সিন্ধু গড়ে সিন্ধু জলে জলকেলি,
ফিরায়েছ ষোড়শের খুঁজে ফেরা কোলাহল;
প্রেরণায়, শক্তিতে পূর্ণ, জীবনের দঙ্গল।

হাতে হাত, পথচলা, সাথী হয়ে চিরন্তন
বুঝনি তোমারেই তুমি হারিয়েছ কখন!
আমার গহীনে, হৃদয় গভীর অন্তরালে।
স্তম্ভিত তবু, বিরহের ভায়ার্ত বিষ নীলে
দমে ছিলে। বেলা-অবেলা, কোন মাহেন্দ্রক্ষণ—
বিধি বাম! অপেক্ষার পালা হলো অফুরান।

হেরেছো নিজের কাছেই, তবু আমি দন্ডিত!
তোমার নীরবতা, আত্মবিশ্বাস অযাচিত
তোমার অহমিকা, অদ্ভুত অপমানভরে
তোমার সীমালঙ্ঘন, ঠেলেছে দূরে-বহুদূরে—
মায়াজালে মুগ্ধ তবু, নিজেকে রেখেছি অটুট
হাজারো ভাষী মিনতি তাই বাড়ালো দাপট।
রহস্যের ধুম্রজালে ক্রমে বেড়েছে গরিমা,
বাঁধন ছাড়োনি তবু, যদিও করোনি ক্ষমা।
গড়েছো নিজ হাতে অসীম এ ক্ষমতায়ন,
সঁপেছো হৃদয়, পারোনি তার অপনয়ন।

ছিলেনা পরিপূর্ণ হয়তো মনের মতন,
সঞ্জীবনী ছিলে যে, পরশপাথর যেমন।
কতবার ধুয়েছিলে কাজল, চোখের জলে
বিনিময়ে দু'ফোঁটা বৃষ্টির বুঁদ চেয়েছিলে—
পারিনি। আজ এই খোলাচিঠি, ব্যর্থ বিধুর
দীনতাটুকু তবু ক্ষমা করো, হে বন্ধুবর!

নিরন্তর ছুটে চলা শেষ স্টেশন অবধি,
হবে কোন একদিন, এই কষ্টের সমাধি।
অপেক্ষায় সকাতর, কোন এক অপরাহ্নে
হোকনা হোক দেখা তবু এ জীবন সায়াহ্নে,
জড়তা সেদিন হয়ে রবে নিস্তেজ, মলিন
আমার এই দীনতাটুকু মিটিয়ে সেদিন
হাতছানিতে যখন ডাকবো তোমায় কাছে,
দূর থেকে সেদিন কিনা বসবে এসে পাশে?
অনর্গল বকে যাব, তুমিও কথার ছলে—
প্রাণখুলে হেসে যাবে আমার সমান্তরালে!


বৃহস্পতিবার, পতেঙ্গা
১৯ অক্টোবর ২০১৭ ইং

#কবিতা_রবিন

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

robinbdbuet
২৫-১১-২০১৭ ১৯:২৯ মিঃ

কবিতার প্রতিটি চরণ ১৬ পদ বিশিষ্ট।