অশ্রুঝরা ভালবাসা
- রুহুল আমীন রৌদ্র ২৪-০৪-২০২৪

অন্ধকারে হাতটি ধরে কি বলতে চেয়েছিলে,
হয়তো ঠিক বুঝতে পারিনি।
একটি পাহাড় কেঁপে উঠেছিল সে রাতে, ভূমি ধসে মরেছিল দুটি পাখি,
একটি লাল টুকটুকে,
অনেকটাই আমার নিকোটিন ভরা হৃদপিন্ডের মতো,
অন্যটির রং অস্পষ্ট ছিল নিবিড় কালো অন্ধকারে।
কোন ভয় ছিল না রাতে,
না ছিল তোমার বাবার দৌড়ানি কিবা সরকারি বন্দুকের ভয়,
না ছিল অপদস্থের দৌরাত্ব,
শুধু তৃষ্ণা ছিল অস্তিত্বের নগর জুড়ে।
তোমার পড়ার ঘরের পাশে কাঁঠালচাঁপার গাছটি আমিই ছিলাম।
যতটা ফুল ফুটেছিল ওই রাতে,
সব ফুলের সুবাসে ছিল
আমার অস্তিত্ব।
দুর্বোধ্য ভাবনাগুলো তখনো অন্ধকারে হামাগুরি খাচ্ছিল,
পাতার বুক চিরে বয়ে চলা শিশিরের মতো।
কালো অন্ধকারে কালো চোখের ভাষা বুঝতে পারিনি,
বুঝতে পারিনি কি চেয়েছিল গোলাপি ঠোঁট দুটি,
কি চেয়েছিল কানের দুল, হাতের চুড়ি,
পায়ের নূপুর।
কখনো ভাবিনি,
বিনে বসন্তে আমন্ত্রিত কাকগুলো কোকিল হয়ে ডাকবে।
কখনো ভাবিনি পড়ার টেবিলের বাতি নিভিয়ে,
রাধিকা হবে।
সে রাতে, নিঃশব্দে বেজেছিল কানাইয়ের বাঁশি,
তবে কেমনে বুঝলে, যমুনার তীরেই কানাই ?
কিসের টানে এসেছিলে কাঁঠালচাঁপার পাশে?
কি ভাষা বলেছিল লতার মতো কোমল তনু?
সে কি ভালবাসার টান?
হয়তবা।
নয়তো অন্য কিছু।
আজ বুঝেছি,
মরে যাওয়া আরেকটি পাখির রং ছিল,
ধূসর চাতকীর মতো,
ধসে যাওয়া পাহাড়টি অশ্রুঝরা ভালবাসা।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।