ধর্মের আত্মকথা
- প্রবীর রায় ২০-০৪-২০২৪

শিবলিঙ্গ -মূরতি প্রতিমা, শুধুই হল প্রতীক,
ধর্ম হল চেতনার ভাণ্ডার, জ্ঞান বর্ষে সঠিক,
পাপ ঢাকতে-আশা পূরণে,আস্থায় চলে পূজো,
নিত্য বছরে প্রতিমা গঠন,বিসর্জনে আঁখি বুজো,
প্রতীকে যদি হয় ধর্ম সাধন,তবে দেও কেন দেবতা বিসর্জন?
আমার আচরণ যেমনি হোক,ধর্মেতে নেই কখনোই রোক,
যদি পূজি আমি বিশেষ দেবতা,গ্রহণ করি পবিত্র কিতাব,
তবে হবো সেই ধর্মের মানুষ, লাগেনা পরিচয়ে কোনোই ক্ষিতাব,
ধর্ম পালনে মন্দির-মসজিদে গমন,দেবতার সন্তুষ্টে পূজোর বোধন,
এতে নয় কভু পরিষ্কার মন,চাই যে জীবে একতার মিলন,
ধর্মে চলে ভণ্ডামি -মিথ্যাচার, বুদ্ধিজীবীর করে লুটপাটের খেলা,
সংস্কার আজ দূষিত মর্ত্যে,ছোড়ে বান্দা মতভেদের ঢেলা,
ধর্মে চলছে অন্ধবিশ্বাস, শিক্ষার পথে মস্তিষ্ক বিকৃতি,
ভ্রষ্টাচার -পাপাচার গর্জে উঠেছে,পাচ্ছে আপোষে স্বীকৃতি,
যার কারণে মরছে নিরীহ, সব হারিয়ে শরণার্থী,
ধর্মে সমর্পণ জীবন-মরণ,কেহ নয় পুণ্যার্থী,
সকল ধর্মের একটাই মত,হিংসা-মারামারি নহে,
শক্তিশালী ধর্ম পালটে,শাসনে অরাজকতা রহে,
ধর্মের রচা জটিল ব্যধিতে,বাড়ছে বিশ্বে শত্রু,
ধর্ম ঘিরে রাজনীতির ঝড়ে,দেশ টুকরোর চক্র।।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।