নারী সংস্কৃতি
- প্রবীর রায় ২৪-০৪-২০২৪

আমি তাকে তখনো দেখেছিলাম-
যখন সে শিশু ছিল,
আজ সে চেহারায় বেড়েছে-
লাগছে ভিন্নাদি অঙ্গ বস্ত্র,
প্রতিটি ধাপে এক সত্যের সন্মুক্ষীণ-
অসহায় সে,লাজুক ও,ভয়ে-ভয়ে চলে,
স্কুল-কলেজেও গিয়েছে সে-
পার্থক্যটা শুধু বস্ত্রের পরিবর্তন,
কখনো -কখনো চুল বাঁধা ছাড়া খোলা চুলেও দেখা যায়-
কিন্তু তখনো সে অসহায়-লাজুক-মনের গহীনে ভয়,
হাসির মাঝে লুকিয়ে রাখে তার সব ব্যথা-
হঠাৎ একদিন স্মৃতি ভুলে-বিয়ের কন্যার সাজ,
সব শেষে বিদায়ের পালা-তখনো সে অসহায় -দুর্বল,
যখনি আঁখি বুজি-সেই চেহারায় সামনে ভাসে,অসহায়-একাকী ছিল সে,
আজ আবার হঠাৎ দেখা-ভিড়ের মাঝে,কিছু কিনছে বাজারে,
আমি নজর আড়াল করছি-কিন্তু পেছন থেকে ডাক দিলো সে নাম ধরে-
এক নিশ্বাসে কতনা প্রশ্ন -আমি ভাবনার অন্তরালে নিখোঁজ,
এই কি সেই -অসহায়, দুর্বল নারী, তার এতটাই পরিবর্তন,
সে এখন মা-তার ও এক কন্যা শিশু,
তার মুখেও সেই অসহায় -দুর্বলতার ভাব,যা তাকে একাকী করেছে,
তবে কি এটাই নারী সংস্কৃতি ? যা সর্বদা একইভাবে বিরাজিত।।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।