আধুরা তিয়াসঃ পূর্ণতা-অপূর্ণতা
- সোহরাব হোসেন - বেলা অবেলা ২৯-০৩-২০২৪

অধীর তিয়াস, অধরা প্রয়াস
ছুঁয়ে যাবার অভিপ্রায়ে,
দুয়ারে এসেছি প্রেমের কাঙ্গাল,
এসো স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে।
মোহিনী হাসিতে মোহিত হৃদয়
পলে পলে হয় খুন,
একাকী একেলা বিনিদ্র রজনী
অঘোর নেশার জুনুন।
মুহূর্ত রইলো আশায় বিভোর
সেকেন্ডে সেকেন্ডে ঘন্টা,
প্রতীক্ষায় যায় এ মাহেন্দ্রক্ষণ
উৎকন্ঠায় রয় মনটা।

আলো আঁধারিতে বেলা শেষে এলে
চাঁদমুখে শত লাজ।
চোখে চোখে কথা, আঙ্গুলে আঙ্গুল
বুকে হাপরের আওয়াজ।
ভাষাহীন আবেগে চপল অধর
প্রাণের টানে দিলো সাড়া,
মোহিনী আবেশে বিহ্বল হৃদয়
সুখ সরোবরে দিশেহারা।
যতো কাছে এলে ততোই বাড়ালে
তৃষিত স্রোতের শতধা,
ততোই হলো যে হৃদয় কাঙ্গাল
অপত্য প্রেমের বহতা।

দুয়ারেতে ছিল আরতি হাজার,
কতো কী ছিলো চাওয়ার!
মুগ্ধতায় ভরা নির্বাক সময়
কে নিলো খবর তার!
রূপের তেজুরি প্রত্যাশার স্বর্গ
ঝলকালো ক্ষণ তরে,
রূপছায়া পরী, আচ্ছন্ন অপ্সরী
দেখা হয় নি মন ভরে।
ছুঁয়েও ছুঁইনি, এ কেমন ছোঁয়া
দেখেও দেখিনি মনে হয়,
পেয়েও পাইনি, এ কেমন পাওয়া
পরাণেতে বড় দুঃখ রয়।

নীড় হারা পাখি, হারিয়ে খোঁজে
যুগলবন্ধের মুখরতা,
আঁকড়ে হৃদয় স্বপ্নময় ঘোর—
স্বপ্ন ভঙ্গের কাতরতা।
কত রঙে ঢঙে সাজিলো বাসর
সমাপিত সে ক্যানভাসে,
দ্বারে উঁকি দিয়ে হারানো স্বপ্ন
যাতনা বিলাতে আসে।
তৃষিত হৃদয়ে অতৃপ্ত বাসনা
এতো কেন জাগে বারবার!
কেটে কুটিকুটি করে যায় যেন
দুইধারী কোন তলোয়ার।

আধুরা তিয়াস জ্বলে আকছার
গাঢ় থেকে যেন গাঢ়তর,
প্রাণের পিপাসা করিলো তোমায়
প্রিয় হতে আরো প্রিয়তর।
স্বপ্ন নিকেতনে বিষাদের শিখা
গূঢ় শূণ্যতায় রাখে ঘিরে,
অবিনাশী টানে বিমোহিত ক্ষণ
যখন তখন চায় ফিরে।
ভালো থেকো তুমি এই ঠিকানায়
রেখো খুলে স্বপ্ন দোর,
ঠিক এখানেই ফিরবো আবার
কাটে না যে মায়া ঘোর।

শিলিগুড়ি, সোমবার
২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ইং।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

robinbdbuet
১৯-০১-২০১৯ ২০:০০ মিঃ

পাওয়া ও না পাওয়ার সন্ধিক্ষণের অদ্ভূত অনুভূতি নিয়ে এই কবিতা।